কিন্তু ডায়না তাঁর ব্যক্তিগত ও বৈবাহিক জীবন নিয়ে অকপট বক্তব্য রেখেছিলেন। আজ থেকে প্রায় ২৫ বছর আগে নেওয়া সেই বিস্ফোরক সাক্ষাৎকার আজ আবার চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।
তবে সাক্ষাৎকার নেওয়ার পর পরই সেটা বিতর্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সূত্র থেকে জানা যায় যে ডায়নার এই সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য কিছু অসৎ উপায় অবলম্বন করেন বশির। সেই পুরনো বিতর্ক উস্কে দিয়ে আবার এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিবিসি চ্যানেল কর্তৃপক্ষ।
advertisement
১৯৯৫-এর এই সাক্ষাৎকার নাড়িয়ে দিয়েছিল রাজ পরিবারের ভিত। প্রিন্স উইলিয়াম (Prince William) অবশ্য এখন নিরপেক্ষ তদন্তকেই সমর্থন করেছেন। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন ডায়নার ভাই স্পেন্সারও। তিনি বলেছেন মার্টিন নানা রকম অভিযোগ এনেছিলেন তাঁর এবং ডায়নার প্রতি।
সাংবাদিক বলেছিলেন যে ডায়নার নিরাপত্তারক্ষীরা সব খবর বাইরে প্রকাশ করত। এও বলা হয়েছিল যে দু'জন সহকারীকে টাকা দিয়ে তাঁদের কাছ থেকে তথ্য কেনা হয়েছে। একটি ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তৈরি করে এই অভিযোগকে সত্যি প্রমাণ করার চেষ্টা করেন মার্টিন। স্পেন্সার এও বলেন যে এই সমস্ত কাণ্ড ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিবিসি কর্তৃপক্ষ।
প্রিন্সেস ডায়নার অস্থির মনোভাব, তাঁর দুর্বলতা, ভয় ও আশঙ্কাকে জনগণের সামনে তুলে ধরেছিলেন মার্টিন। ডায়নার মনে হত তিনি সব সময় সিক্রেট এজেন্সির বৃত্তের মধ্যে আছেন। ডায়নাকে নকল কাগজ দেখিয়ে এটা প্রমাণ করা হয় যে রাজবাড়ির কর্মীরাই তাঁর উপরে নজর রাখে এবং এই কাজের জন্য তাঁদের টাকাও দেওয়া হয়। এই ভুয়ো চিঠি ও কাগজপত্র দেখে ডায়না স্বভাবতই বিব্রত হয়ে পড়েন এবং সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হন। পরে যদিও এই সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রিন্সেস আফসোস করেন কারণ এর জন্যই তাঁর বড় ছেলের উইলিয়ামের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
এই সাক্ষাৎকারে ডায়না বলেন যে তাঁর বিবাহিত জীবনে বড্ড বেশি ভিড়। বলাই বাহুল্য, তাঁর ইঙ্গিত ছিল স্বামীর প্রেমিকা ক্যামিলা পার্কার (Camilla Parker Bowles) বোলসের দিকে। তিনি এও বলেন যে রাজপরিবারে আজ পর্যন্ত যা হয়নি সেটাই হতে চলেছে। খুব তাড়াতাড়িই তিনি চার্লসকে ডিভোর্স (Divorce) দিতে চলেছেন। তিনি নিজেও যে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে (Extra Marital Affair) জড়িত, সেটাও স্বীকার করেন তিনি।
