আন্তর্জাতিক মহলের মতে, থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে এই যুদ্ধ পরিস্থিতি গত ১৩ বছরের মধ্যে সবথেকে গুরুতর। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ থাই নাগরিক দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: চিনের জন্য দরজা খুলে দিল ভারত…গালওয়ান কাণ্ডের পরেও সিদ্ধান্ত! পাঁচ বছরে প্রথম পদক্ষেপ
একটি সরকারি প্রেস বিবৃতিতে রয়্যাল থাই গভর্নমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা নিজেদের আত্মসুরক্ষা মজবুত করছে। এই প্রসঙ্গে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়, “যে ভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করে একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে এবং যেভাবে আমাদের থাই সৈনিকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে তার যথাযোগ্য জবাব আমরা দেব।”
advertisement
এই যুদ্ধ আবহে নিজেদের আত্মসুরক্ষা আরও মজবুত করছে থাইল্যান্ড। ইতিমধ্যেই, বৃহস্পতিবার দুইদেশের পক্ষ থেকেই মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করা হয়। এরফলে দুই দেশের মোট ১১জনের মৃত্যু হয়। এরপরেই থাইল্যান্ডের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার বেশ কিছু জায়গায় বোমা বর্ষণ করে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে দুই দেশের এই যুদ্ধ পরিস্থিতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কিছুটা হলেও বিরল।
এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির শুরু হয় চলতি বছরের মে মাসে। কম্বোডিয়া এবং থাইল্যান্ডের সীমান্তের একটি অঞ্চল ঘিরে উত্তাপ ছড়ায়।
কম্বোডিয়ায় ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে থাইল্যান্ডের সিনেমা, টিভি শো, জ্বালানি, ফল, সবজি-সহ একাধিক জিনিস। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে ওই দেশের সমস্ত সামগ্রী বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই এই সীমান্ত সমস্যা মেটাতে আন্তর্জাতিক আদালতের কাছে দ্বারস্থ হয়েছে কম্বোডিয়া। অন্যদিকে, এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে থাইল্যান্ড।