কাবুলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হক্কানি জানিয়েছেন, ২ ফেব্রুয়ারি থেকে আফগানিস্তানের গ্রীষ্মকালীন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, আর অপেক্ষাকৃত শীতকালীন এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে ২৬ ফেব্রুয়ারির পর। ইতিমধ্যে তালিবান সরকার দেশের বেশিরভাগ স্কুলই খুলে দিয়েছে। সেখানে ছাত্ররাই পড়াশোনা করছেন। ছাত্রীদের পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: ২০২৪-এর মধ্যেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের হবে! ভোট-আবহে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি
advertisement
এর আগে আফগানিস্তানের শাসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মহিলাদের পড়াশোনার বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার প্রয়োজন। তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, একেবারে ইসলামিক মতে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য বলে মনে হবে, তাই করবে তালিবদের সরকার। সেখানে মহিলাদের শিক্ষার বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও তার পর নানা আন্তর্জাতিক মহল থেকে এই নিয়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। সম্প্রতি আফ্গানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই বলেছেন, আরও বেশি করে অংশগ্রহণমূলক শাসন চালাতে হবে নয়া সরকারকে। সেখানে মহিলাদের অধিকার স্বীকৃত হওয়া একান্তই প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ভোররাতে উল্টোডাঙ্গার পথে এ কী পড়ে! চমকে ওঠা দৃশ্য, এক অটোচালকের দাবিতেও রহস্য
তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মহিলাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে উপস্থিতি, আধুনিক উচ্চশিক্ষার পরিসর কতটা থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। মুখ রক্ষার তাগিদে একাধিক বার আধুনিক তালিবান শাসনের কথা বললেও কাজের কাজ বিশেষ হয়নি। উল্টে ক্রমে খাদ্যসংকটে ভুগতে শুরু করেছে সে দেশ। বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও তালিবান শাসিত আফগানিস্তানে মহিলারা শিক্ষার অধিকার পাবেন কি না, তা স্পষ্ট করতে পারেনি সরকারও। মহিলাদের মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে পথেও নামতে দেখা গিয়েছে আফগান নারী সমাজকে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।