কাবুলের দখল নেওয়ার পর তালিবানরা গোটা বিশ্বকে আশ্বস্ত করে বলেছিল, আফগানিস্তানের মাটি থেকে অন্য কোনও দেশের ক্ষতি করা হবে না৷ যদিও তালিবানরা মুখে এ কথা বললেও তাদের কাজ সেই দাবির সঙ্গে মিলছে না৷ ভারতীয় দূতাবাসে তালিবানদের হানার ঘটনায় ফের সেই অভিযোগই প্রমাণিত হল৷
ভারত সরকারের এক শীর্ষ আধিকারিক এনডিটিভি-কে বলেন, 'আমরা এটা আশাই করেছিলাম৷ দূতাবাসে তছনছ করার পাশাপাশি ওরা দূতাবাসে বিভিন্ন নথির খোঁজেও তল্লাশি চালায়৷ আমাদের দু'টি দূতাবাস থেকেই গাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছে তালিবানরা৷'
advertisement
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই তালিবানদের তরফে দিল্লিকে বার্তা দিয়ে আফগানিস্তানে ভারতীয় দূতাবাসগুলির কোনও ক্ষতি করা হবে না বলে আশ্বস্ত করা হয়েছিল৷ ভারত যাতে দূতাবাসগুলি খালি না করে, সেই বার্তাও দেয় তালিবানরা৷ ভারত সরকারের সূত্র অনুযায়ী, কাতারে অবস্থিত তালিবান নেতা আব্বাস স্টানিকজাইয়ের অফিস থেকেই এই বার্তা দেওয়া হয়েছিল৷
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই আফগানিস্তানের নিজেদের দূতাবাসের কর্মী ও আধিকারিকদের উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনে ভারত৷ বায়ুসেনার দু'টি সি-১৭ বিমানে করে ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের কাবুল থেকে ফিরিয়ে আনা হয়৷ আফগানিস্তানের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও ফিরিয়ে আনা হয়৷ যদিও এখনও প্রায় এক হাজার ভারতীয় আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন৷
তবে যেভাবে ভারতীয় দূতাবাসে তালিবানরা আক্রমণ চালালো, তাতে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও খারাপ হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ সূত্রের খবর, পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর মদতেই ভারতীয় দূতাবাস হানা দিয়েছে তালিবানরা৷
