তবে ১০২ জন সন্তানের বাবা, উগান্ডার বাসিন্দা মুসা তাঁর এহেন ‘কীর্তি’-তে মোটেও গর্বিত নন! বরং বলেন, এত সন্তান প্রসব করা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয়। কারণ তিনি এত সন্তানের দেখভাল করতে পারেন না। সন্তানদের নাম-ও মনে নেই তাঁর। তাই বর্তমানে ক্ষান্ত হয়েছেন তিনি। মুসা জানিয়েছেন, তিনি গর্ভনিরোধক ব্যবহারের পক্ষপাতী নন, জীবনে কোনও দিন গর্ভনিরোধক ব্যবহারও করেননি। তাঁর স্ত্রীরা এখন গর্ভনিরোধক বড়ি খান।
advertisement
এত সন্তানের জন্মের পর ক্লান্ত মুসা। আর সন্তান জন্ম দেওয়ার ইচ্ছে নেই। তাঁর ভাষায়, ” আমার শরীর ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। মাত্র ২ বিঘা জমি আমার, অথভ সংসারে এতজন সদস্য। আমার দুই স্ত্রী আমায় ছেড়ে চলে গিয়েছে, কারণ আমি তাদের ন্যূনতম চাহিদাটুকুও পূরণ করতে পারিনি। যেমন খাবার, শিক্ষা, পোশাক…। আমার স্ত্রীরা এখন গর্ভনিরোধক বড়ি খায়। আমি আর সন্তানের জন্ম দেব না। আমার শিক্ষা হয়ে গিয়েছে।”
মুসা কোনও আইনভঙ্গ করেননি। উগান্ডায় একাধিক বিয়ে আইনসম্মত। ১৯৭২ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রথম বিয়ে করেন মুসা। একবছর বাদে তাঁর প্রথম সন্তান সান্ড্রার জন্ম হয়। সেই সময় পরিবার বলেছিল একাধিক বিয়ে করতে, অনেক সংখ্যক সন্তানের জন্ম দিতে, যাতে পরিবার বৃদ্ধি পায়। মুসা মানেন, সেটিই ছিল তাঁর বোকামি।
পরিবারের লোকজনদের ঠিকমতো খাবারের জোগান দিতে পারছেন না। ছেলেমেয়ের জামাকাপড়, পড়াশোনার খরচও চালাতে পারছেন না। কাজেই আর সন্তান চান না ১০২ সন্তানের জনক মুসা হাসহ্যা কাসেরা।