পানামা পেপার্স তদন্তে নাম উঠেছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ৷ দুর্নীতির মামলার সূত্রপাত, গত বছর পানামার মোসাক ফোনসেকা নামে একটি আইনি সংস্থার কর নথি ফাঁস হয়ে যাওয়া থেকে ৷ প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ করদাতার গোপন নথি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ কর ফাঁকি দিতে বিশ্বের বহু নামী-দামী ব্যক্তি গোপনে বিদেশে টাকা লেনদেন করেছেন ৷ বিশ্বের প্রথম সারির বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে তা ফলাও করে প্রকাশও করা হয় ৷
advertisement
ওই দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফের নামও জড়িয়ে যায় ৷ অভিযোগ ওঠে, তিনি এবং তাঁর পরিবার কর ফাঁকি দিতে বিদেশে টাকা লেনদেন করেছেন, সম্পত্তি কিনেছেন ৷ তবে শরিফের দল ও তাঁর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, শরিফ বিদেশে সম্পত্তি কিনলেও তা বৈধ পথেই কিনেছেন ৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেই পানামা মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন নওয়াজ শরিফ ৷
শুধু শরিফ নয়, তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও মামলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ নওয়াজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)-র কাছে পাঠাতেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
মামলা দায়ের হবে শরিফের দুই ছেলে হুসেন ও হাসান নওয়াজ, মেয়ে মরিয়ম এবং জামাতা ক্যাপ্টেন মহম্মদ সফদরের বিরুদ্ধেও। পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার এবং জামাতা মহম্মদ সফদরের সাংসদ পদও খারিজ করে দিয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট।
দেশের দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে ছ'সপ্তাহের মধ্যে শরিফ পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। আগামী ছ মাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অসমর্থিত সূত্রে খবর, নওয়াজ শরিফকে আজীবনের জন্য যে কোনও সাংবিধানিক পদের অযোগ্য ঘোষণা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার অর্থ, ভবিষ্যতে আর কোনওদিন ভোটে লড়তে পারবেন না পদচ্যুত পাক প্রধানমন্ত্রী।