ওকলাহামা ইউনিভার্সিটির স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত এই তথ্য চমকে দিয়েছে একদল ফরাসি বিজ্ঞানীকে। গবেষক দলের মুখপাত্র, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর আর্গোনমিক রিসার্চের অধ্যাপক জঁ পিয়ের উইনেরন এই প্রসঙ্গে একটা পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, যা সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে। তিনি বলছেন যে বিগত দুই দশকে, বিশেষ ভাবে বললে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আমাজন অরণ্য কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করেছে ১৬.৬ বিলিয়ন টন। সেই তুলনায় কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে উঠতে পেরেছে এই অরণ্য মাত্র ১৩.৯ বিলিয়ন টন। বিশ্বের বৃহত্তম ক্রান্তীয় অরণ্যের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা কমানোর কোনও সুষ্ঠু প্রাকৃতিক উপায় যে নেই, সেটা উপলব্ধি করেই চরম আতঙ্ক বোধ করছেন ফরাসি এই পরিবেশবিদরা। তাঁরা স্পষ্ট বলছেন যে প্রকৃতির খারাপ দিন ঘনিয়ে এসেছে!
advertisement
এই জায়গায় এসে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠে যে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রান্তীয় অরণ্য এরকম দুর্দশার মুখে পড়ল কী ভাবে? এই দিক থেকে সবার প্রথমে সরকারকে দোষ দিয়েছেন পরিবেশবিদরা, জানিয়েছেন যে ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি জেয়ার বলসোনারো (Jair Bolsonaro) ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর থেকে আমাজন অরণ্যের দশা আরও বেশি বেহাল হয়ে উঠেছে। আগুন লাগিয়ে দিয়ে, কেটে ফেলে নির্বিচারে অরণ্য সম্পদের ধ্বংসসাধন চলছে। এর মধ্যেই যে পরিমাণ বনভূমি সাফ হয়ে গিয়েছে, তা প্রায় নেদারল্যান্ডের সমান, বলছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, আমাজন অরণ্যকে রক্ষা করা যাচ্ছে না বলেই প্রতিদানে সেও আমাদের রক্ষার স্বার্থে ব্যর্থ হয়ে পড়ছে।