দ্য ইনসাইডার নামের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে কান্তো জানিয়েছেন যে তিনি বড় হয়ে অভিনেতা হতে চাইতেন। এই এক স্বপ্ন দেখেন তাঁর মা-বাবাও। শুধু একটা বিষয়ে মায়ের সঙ্গে তুমুল খটাখটি হত তাঁর- মা যেমন তেমন পোশাক পরে বন্ধুদের সঙ্গে কান্তোকে বাইরে যেতে দিতেন না। ওদিকে কান্তোরও দারুণ জেদ- তিনি সব সময়ে সেজেগুজে থাকবেন না। পরিণামে মা কথা না শুনলে বন্ধুদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করতে দিতেন না, আটকে রাখতেন বাড়িতে।
advertisement
কান্তো কিন্তু আর পাঁচজন তরুণ-তরুণীর মতো এক্ষেত্রে গোঁসাঘরে খিল দেননি, বরং তিনি হাতে তুলে নিয়েছিলেন কোদাল! তার পর মায়ের উপর রাগটা অন্য খাতে বইয়ে দেওয়ার জন্য শুরু করেছিলেন মাটি খোঁড়া। এক সময়ে ব্যাপারটা তাঁর নেশায় পরিণত হয়ে যায়। দেখতে দেখতে বছর চোদ্দর এই তরুণ একা হাতে ৫ ফুট গভীর একটা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে ফেলেন বাগানের নিচে। এক সময়ে তাঁর মনে হয়- এটাকে ফেলে না রেখে বাঙ্কারে পরিণত করে থাকার জায়গায় বদলে ফেলা যায়!
এখান থেকে আর কান্তোকে একা কোদাল চালাতে হয়নি, পাশে পেয়েছিলেন বন্ধু আন্দ্রিউকে। দুই বন্ধু মিলে এর পর খুঁড়ে ফেলেন ১১ ফুট গভীর সুড়ঙ্গ, তার দেওয়ালের গায়ে খুঁড়ে দেন তাক, তৈরি করেন সুড়ঙ্গে নামার সিঁড়িও। যেখানে একটা বিছানা, স্টিরিও সিস্টেম, ওভেন আর ওয়াই-ফাই কানেকশন ইস্টল করেছেন তাঁরা। কাজ অবশ্য এখনও বাকি- আপাতত কান্তোর ইচ্ছা সুড়ঙ্গে একটা জাকুজি বসানোর, যাতে স্নানের জন্য উপরে উঠতে না হয়!