গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ইউন সুক ইয়লের সরকারি বাসভবনটিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীর বিশেষ বাহিনী। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৩ হাজারের বেশি পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা ইউনের সরকারি বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে আনে তাঁকে।
গ্রেফতারি আটকাতে বাড়ির বাইরে জড়ো হয়েছিলেন প্রেসিডেন্টের সমর্থক এবং শাসক দল পিপল পাওয়ার পার্টির সদস্যরা। তাঁদের সঙ্গে পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন শাখার অফিসারদের ছোটখাটো সংঘর্ষ হয় বলে জানিয়েছে সংবাদসংস্থা রয়টার্স।
advertisement
ইউন সুক ইয়লের গ্রেফতারিকে “অবৈধ” বলে দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীরা। সাংবাদিকদের তাঁরা বলেন, এই গ্রেফতারি “অবৈধ, তাঁকে প্রকাশ্যে অপমানিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।” পূর্বে রেকর্ড করা ইউনের একটি ভিডিও বার্তা সামনে এসেছে। সেখানে তিনি বলেছেন, “রক্তপাত” এড়াতে তিনি সহযোগিতা করছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে চলা তদন্ত তিনি মানতে চাননি। দাবি করেছেন, “আইনের শাসন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।”
উল্লেখ্য, এর আগেও একবার ইউনকে গ্রেফতারির চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপতির বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর বাধায় তা সম্ভব হয়নি। প্রায় ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অচলাবস্থা তৈরি হয়। শেষে রণে ভঙ্গ দেয় পুলিশ। এবারে তাই আটঘাট বেঁধে বিশাল বাহিনী নিয়ে ইউনের বাসভবনে যায় পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা।
প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে আচমকাই সামরিক শাসন জারি করেন ইউন সুক ইয়ল। এই সিদ্ধান্তে চমকে যান দক্ষিণ কোরিয়াবাসী। এরপরই ইউনকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন সাংসদরা। ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবিকে সামনে রেখে ভোটাভুটি হয়। অন্য দিকে, সাংবিধানিক আদালতেও এই নিয়ে আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই ইউনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
আরও পড়ুন-অকালে সব শেষ! চন্দ্রমৌলির মৃত্যুতে শোকে পাথর রূপম ইসলাম, কল্যাণীর মঞ্চে যা করল ফসিলস…
ইউনকে বরখাস্ত করার পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা তুঙ্গে। গ্রেফতারিতে তা আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সামরিক শাসন জারি করে ভিন্নমত দমনের অভিযোগে ইউনের বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। এই দিকেই এখন তাকিয়ে আন্তর্জাতিক মহল।