আইসিটি-র রায় ঘোষণার পর হাসিনার প্রথম প্রতিক্রিয়া, ”এই রায় বেআইনি ও জালিয়াতিপূর্ণ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত যা একটি অনির্বাচিত সরকারের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে।”
রায় ঘোষণার পর লিখিত বিবৃতি দিয়ে হাসিনা দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলির সপক্ষে কোনও প্রমাণ নেই। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির সাজাও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি। হাসিনার কথায়, ” এই রায় অন্তর্বর্তিকালীন সরকারে থাকা চরমপন্থী ব্যক্তিদের নির্লজ্জতা ও খুনি মনোভাবের প্রতিফলন মাত্র। বাংলাদেশের শেষ নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করতে এবং আওয়ামী লিগকে রাজনৈতিক ভাবে ভেঙে দিতে এই কাজ করা হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই–অগাস্টে ছাত্রদের আন্দোলন ও হিংসার ঘটনার সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে যে অভিযোগগুলি করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এই রায় ঘোষণার গোটা প্রক্রিয়ায় ন্যূনতম বিচারিক মানদণ্ডও মানা হয়নি… ”আমার বিরুদ্ধে যে দোষী সাব্যস্তের রায় দেওয়া হয়েছে, তা আগেই নির্ধারিত ছিল।”
advertisement
বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ”বিশ্বের কোনও প্রকৃতভাবে সম্মানিত বা পেশাদার বিচারক বাংলাদেশ আইসিটিকে সমর্থন করবেন না।” হাসিনা ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, ” সরকার নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিচারব্যবস্থাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।” তাঁর দাবি, ইউনুসের অধীনে বাংলাদেশ ”অরাজক, সহিংস এবং সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে।”
শেখ হাসিনার অভিযোগ, তাঁকে নিজের আইনজীবীর দল বেছে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি, এমনকি নিজের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করতেও দেওয়া হয়নি। তিনি সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, মামলাটি যেন আন্তর্জাতিক ক্রাইম কোর্টে তোলা হয়। তাঁর বক্তব্য, ”আমি কোনও সঠিক ট্রাইব্যুনালে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মুখোমুখি হতে ভয় পাই না, যেখানে প্রমাণ যথাযথভাবে পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করা হবে।”
