মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রকফেলার ইউনিভার্সিটির এ হেন সমীক্ষা প্রাথমিক ভাবে হয় তো মনে বিরক্তিই জাগাবে! কেন না, কোভিড ১৯-এর প্রকোপে অকালে হারিয়ে যাচ্ছে যে প্রাণ, তার প্রতি সবার আগে আমাদের মনে প্রকাশ পায় সমবেদনা। সঙ্গে জাগায় কিছুটা ভয়। অথচ এই যে সমীক্ষার দাবি, তা কি শেষ পর্যন্ত দায়মুক্ত করতে চায় করোনাকেই?
advertisement
এ রকমটা মনে করলে সম্ভবত ভুলের দিকেই এগিয়ে যাব আমরা। আসলে যে কোনও সমীক্ষাই তো বিজ্ঞানভিত্তিক একটি দাবি তুলে ধরতে চায়। রকফেলার ইউনিভার্সিটির গবেষকদেরও সেটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। সমীক্ষার এই ফলাফল সবার সামনে তুলে ধরে শেষ পর্যন্ত তাঁরা বিশ্বকে মুক্তি দিতে চাইছেন করোনা সম্পর্কিত অহেতুক উদ্বেগ থেকেই। বলতে চাইছেন- কোভিড ১৯ আক্রান্ত হলেই মৃত্যু একমাত্র পরিণতি নয়, এর নেপথ্যে জুড়ে থাকে অন্য কিছু শারীরিক কারণও।
তা, সেই কারণগুলো হিসেবে ঠিক কী কী যুক্তি আমাদের সামনে নিয়ে এল এই সমীক্ষা?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের দাবি, যে স্বাস্থ্যবান তরুণেরা এই রোগে প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১০ শতাংশের শরীরের অ্যান্টিবডি চালিত হয়েছিল ভুল পথে। তাঁদের শরীরের অ্যান্টিবডি করোনা জীবাণুকে প্রতিহত করার বদলে আঘাত হেনেছে দেহের সুরক্ষা বন্দোবস্ত বা ইমিউন সিস্টেমকে। এই নজির বাদ দিলে বাকি ৩.৫ শতাংশ তরুণের মৃত্যুর কারণ জিনঘটিত দুর্বলতা। তবে দুই ক্ষেত্রেই দায়ী মূলত টাইপ আই ইন্টারফেরন, যা ১৭টি প্রোটিনের সমণ্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে, দেহকে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচাতে যার ভূমিকাই প্রধান এবং অপরিসীম। গবেষণা দাবি করছে আরও- এই ফলাফল থেকেই স্পষ্ট কেন একই বয়সের এক মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যের চেয়ে কম হয়ে থাকে!