এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সারা বিশ্বের প্রার্থনা আজ রাতে ইউক্রেনের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। কারণ তারা রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর দ্বারা একটি অপ্রীতিকর এবং অযৌক্তিক আক্রমণের শিকার হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি পূর্বপরিকল্পিত যুদ্ধ বেছে নিয়েছেন যা জীবনহানি এবং মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে আসবে।''
advertisement
সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছেন, ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশেন শুরু হয়েছে। এবং ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র নামিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জেলেন্স্কি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদও মনে করছে, হামলা রাশিয়া করবেই। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান ইতিমধ্যেই পুতিনকে অনুরোধ করেছেন সেনা আগ্রাসন বন্ধ করতে। কিন্তু তা যে হয়নি, রুশ সেনার অভিযান থেকেই তা স্পষ্ট।
আমেরিকাও জানাচ্ছে, ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ দিক দিয়ে পুরোদস্তর হামলা চালানোর জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে রুশ সেনা। হামলা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। যদিও নিজের ভাষণে জেলেন্স্কি বার বার দাবি করেছেন, তাঁর দেশ রাশিয়ার কাছে মোটেও আতঙ্কের কারণ নয়। তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের জনতা এবং সরকার শান্তি চায়। কিন্তু যদি আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে।’’
আরও পড়ুন: পুতিনের পাশে রাশিয়ার সংসদ, ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন
পূর্ব ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে ২১ ফেব্রুয়ারি দেশটির রুশপন্থী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দুটি অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই দিনে তিনি অঞ্চল দুটিতে সেনা পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। পুতিনের এই পদক্ষেপে ইউক্রেনে সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছিল। পুতিনের পদক্ষেপের পাল্টা হিসেবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে পশ্চিমের একাধিক দেশ।
আরও পড়ুন: বিহার থেকে রাজ্যে ঢুকল একটি বোলেরো গাড়ি, যা মিলল ভিতরে, চক্ষু চড়কগাছ সকলের!
এর আগে অবশ্য রাশিয়ার (Russia) বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছিল, তারা পূর্ব ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর কথা ভাবছে না৷ তার পরেও ইউক্রেনে ২০১৪ সাল থেকে লড়াই করা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে ফেডারেশন কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন পুতিন৷