ইতিমধ্যেই গোটা এলাকা জুড়ে তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণও বাড়তে শুরু করেছে। এই বিপর্যয় যাতে আরও বড় আকার না ধারণ করে, তার জন্য দ্রুত সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন বহু মানুষ। জাপোরিঝঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী, তা নিয়ে আশঙ্কা ছিলই। ঘটলও তাই। শুক্রবার ভোর ৫টা ২০ মিনিটে হামলা শুরু করে রুশ সেনা। জানা গিয়েছে, ১০টি যুদ্ধযানে চেপে ৪০ জন রুশ সেনা সেখানে এসে বিস্ফোরণ ঘটায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কী ভয়ংকর, বাংলাদেশি জাহাজে রাশিয়ার বিস্ফোরক হানা! হাড়হিম ভিডিও প্রকাশ্যে
পরমাণু কেন্দ্রের কর্তারা জানিয়েছেন, এখনও তেজষ্ক্রিয় নিঃসরণ হচ্ছে না বটে, তবে রুশ সেনা ঠিক কী করতে চাইছে, তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত যা খবর, রাশিয়া ওই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও দেখা মিলেছে, আকাশে কালো ধোঁয়া। আগুনের হলকা বেরোচ্ছে পরমাণু কেন্দ্র থেকে। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা যুদ্ধিবিরতির দাবি জানিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্র জাপোরিজিয়া-তে রাশিয়ার সেনাবাহিনী চারিদিক থেকে গুলি চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই সেখানে আগুন লেগে গিয়েছে। যদি এখানে বিস্ফোরণ হয় তাহলে তা চেরনোবিলের থেকে ১০ গুণ বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে চলেছে। রাশিয়াকে অবিলম্বে হামলা বন্ধ করতে হবে এবং অগ্নিনির্বাপক বাহিনীকে পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রে নিরাপত্তা বলয় স্থাপনের অনুমতি দিতে হবে।’ তবে, রাশিয়ার দাবি, তাঁরা ওই পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দখল নিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরভোটের ফলের পরই একটা ছোট্ট ট্যুইট, তাতেই শোরগোল ফেললেন লকেট! তাহলে কি...
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, আবারও কি ফিরে আসবে ১৯৮৬ সালের এপ্রিলের সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি! আবারও কি হবে সেই চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রের দুর্ঘটনার মতো কিছু! ইউক্রেনের আশঙ্কা সত্যি হলে ঘটতে চলেছে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়।