গতকাল থেকেই দেশবাসীর অন্তরাত্মা পর্যন্ত বারংবার কেঁপে উঠেছে এমন মর্মান্তিক ছবি দেখে । গঙ্গায় ভাসছে পচা, গলা দেহ । কোনওটা আবার অর্ধেক পোড়া । স্থানীয় প্রশাসনের অনুমান, এই মৃতদেহ গুলি উত্তর প্রদেশ থেকে ভেসে এসেছে ৷ প্রশাসনের ধারণা, বিভিন্ন কোভিড আক্রান্তদের মৃতদেহ যা তাঁদের পরিবার দাহ করতে কিম্বা শেষকৃত্য করতে পারেননি, তাঁরাই নিজের পরিজনের মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দিয়েছেন ৷
advertisement
গঙ্গা, যমুনায় এমন মৃতদেহের সারি দেখে এ বার মুখ খুললেন বাংলাদেশের বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন । সদ্যই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি । গোটা একটা বছর বাড়ির মধ্যে থেকেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিজেই জানিয়েছিলেন সে কথা । বাড়িতেই তিনি নিভৃতবাসে রয়েছেন । বাড়িতে বসেই সংবাদ মাধ্যমের পাতায় গঙ্গা-যমুনার ভয়াবহ চিত্র দেখে শিউরে উঠেছেন তিনি । ট্যুইট করে নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন তসলিমা । লিখেছেন, ‘‘ডজন ডজন দেহ গঙ্গা-যমুনায় ভেসে বেড়াচ্ছে । সত্যিই অদ্ভুত এক দুনিয়ায় বাস করছি আমরা ।’’
বিহারের যে গ্রামে ওই মৃতদেহ গুলি দেখা গিয়েছে, সেই চাউসা জেলার জেলা আধিকারিক অশোক কুমার জানিয়েছেন, ‘‘৪০-৪৫টি মৃতদেহ ভাসছিল৷’’ তবে স্থানীয় মানুষের কথায় একশো-র কাছাকাছি মৃতদেহও থাকতে পারে ৷ আরেক আধিকারিক কেকে উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘এই পচা গলা দেহগুলি অন্তত পাঁচ দিন থেকে সাতদিন আগে নদীতে ভাসানো হয়েছিল৷’’ তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷ উত্তরপ্রদেশ থেকেই এই মৃতদেহ ভাসানো হয়েছে বলে তাঁরা নিশ্চিত৷ তাঁদের ধারণা বারাণসী কিম্বা এলাহাবাদ থেকে এই দেহ ভাসানো হয়েছে৷
এর আগে উত্তরপ্রদেশের হামিরপুরের যমুনাতেও প্রচুর পচা গলা মৃতদেহ ভাসতে দেখা গিয়েছিল ।