শৈশব থেকে বরাবরই র্যাডক্লিফ রোডের বৈদিক সোসাইটি হিন্দু মন্দিরে দীপাবলি পালন করতে যেতেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। এবারেও সেই নিয়মের কোনও অন্যথা হয়নি। রবিবার সন্ধ্যায় ওই মন্দিরে দীপাবলির আরতিতে যোগ দিতে পৌঁছেছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি, দুই কন্যা এবং মা-বাবাও। সেখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনা করেন তাঁরা।
advertisement
নিজের জন্মভূমি সাউদাম্পটনে এমন ভাবে দীপাবলি পালন করে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ঋষি সুনক। মন্দিরে যে জনসমাগম হয়েছিল, তার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সাউদাম্পটনে নিজের ঘরে ফিরতে পেরে দারুণ লাগছে। এই শহরের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই অনেক আনন্দের মুহূর্ত আমি কাটিয়েছি।” এখানেই শেষ নয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরও বলে চলেন, “এটাই সেই জায়গা, যেখানে আমার মা-বাবা আমার মধ্যে যে মূল্যবোধ বপন করেছিলেন, তা আরও শক্তিশালী হয়েছে – পরিবার, বিশ্বাস, কাজ, শিক্ষা এবং কঠোর পরিশ্রমের গুরুত্ব। আর আমি যখন আমার চারপাশে তাকাই, তখন দেখি সম্পূর্ণ নতুন একটি প্রজন্ম এই একই মূল্যবোধ নিয়ে বেড়ে উঠছে।”
যদিও দক্ষিণ ইংল্যান্ডে হাতে গোনা কয়েকটি মন্দির আছে। তবে সাউদাম্পটনের ওই মন্দির বেশ জনপ্রিয়। কারণ ডরসেট এবং আইল অফ ওয়াইট-সহ অন্যান্য অঞ্চল থেকেও এখানে হিন্দু ভক্ত সমাগম ঘটে। মন্দিরে এবারের দীপাবলি উদযাপনে যোগ দিয়েছিলেন সারি চন্দরানা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেমেয়েরা যাতে হিন্দু সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ভিন্ন দেব-দেবী ও তাঁদের পূজার বিষয়ে শিক্ষা লাভ করতে পারে, তার জন্য রবিবার করে ক্লাস নেওয়া হত। আর ওই ক্লাসেরই অংশ ছিলেন ঋষি সুনক। আমাদের জন্য তিনি অনেকটা পরিবারের মতো। আর আজকের দিনে তাঁকে এখানে পেয়ে আমরা সত্যিই খুবই আনন্দিত।’’
আরও পড়ুন-ফ্যাশনের মঞ্চে সৌন্দর্যের জাদু ছড়িয়ে দিলেন আইএএস অফিসার; ছাপিয়ে গেলেন পেশাদার মডেলদেরও
আগেই অবশ্য দীপাবলি উদযাপন শুরু করে দিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের বাসভবনে প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের শুভ সূচনা করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত ঋষি সুনকই প্রথম ব্রিটিশ-ভারতীয়, যিনি প্রধানমন্ত্রী পদ লাভ করেছেন। ১৯৮০ সালে সাউদাম্পটনে জন্ম তাঁর। আর সেখানেই বেড়ে ওঠা। বাবা ছিলেন শহরের জিপি। আর মায়ের একটি নিজস্ব ফার্মেসি ছিল।