পরিবার সূত্রে খবর, গোবরডাঙ্গা গার্লস হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন স্বাগতা। বাবা দেবাশিস সাধুখাঁ, মা রাজ্যশ্রী সাধুখাঁ। বাড়ি বেরগুম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, নকপুল লক্ষীপুর। বাবা দেবাশিস বানিপুর হোম-এর সুপারভাইজার,মা গৃহবধূ। তিন বছর আগে ইউক্রেনে ডাক্তারি পডতে যান স্বাগতা। রুশ আগ্রাসনের জেরে ইউক্রেনের কিয়েভে আটকে পড়া বহু ভারতীয়ের তালিকায় রয়েছেন তিনিও।
advertisement
আরও পড়ুন - পাঁচ রুশ বিমান ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রে ধ্বংস ইউক্রেনের এয়ারবেস
কিয়েভে MBBS-এর তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া স্বাগতা ছাড়াও ভারতীয় কীর্তিসোম চৌধুরী নামে একজনও আটকে আছেন স্বাগতার সঙ্গে, তিনি পাঞ্জাবের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এ দিন ভোররাতে দুই ডাক্তারি পড়ুয়ার ঘুম ভাঙে বোমার আওয়াজে (War In Ukraine)। তারপরেই জানতে পারেন রুশ হামলার কথা। ইউক্রেনে উড়ান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আপাতত দেশে ফেরার উপায় নেই তাঁদের। এখনও পর্যন্ত কোন সমস্যা নেই বলেই পরিবারকে জানিয়েছেন দুজন। এক ভিডিও বার্তায় স্বাগতা সাধুখাঁ জানিয়েছেন, জরুরি অবস্থা জারি হওয়ার পর শোনা গিয়েছিল আজ থেকে বোমাবাজি, বিস্ফোরণ হবে। ইতিমধ্যেই সেটা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বিমান পরিষেবা সম্পুর্ন বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে যে যেখানে আছে সেখানে থাকার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাগতার বাবার সঙ্গে আমরা কথা বলে জানতে পারি, মেয়ের সঙ্গে কিছুক্ষণ আগেই কথা হয়েছে, সব কিছু এখনো স্বাভাবিক আছে, কোন সমস্যা নেই। তবে বিমান পরিষেবা না চালু হকে কী ভাবে মেয়ে আসবে, তানিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন - মোদির কথা শুনে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারে রাশিয়া, ভারতকে অনুরোধ ইউক্রেনের
অন্য দিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইউক্রেনে যুদ্ধের (War In Ukraine) মৃতের সংখ্যা। ইউক্রেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার সেনা প্রবেশের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৪০ ইউক্রেনের সেনার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়াও রুশ হামলায় প্রাণ গিয়েছে ১০ জন সাধারণ মানুষের। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ক্রমে আরও জটিল হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা মারফত খবর পাওয়া গিয়েছে, রাশিয়ায় স্থলসেনা কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইউক্রেনের রাস্তা। একর পর এক ট্যাঙ্ক, সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখা গিয়েছে ইউক্রেনের রাস্তায়।
এ ছাড়া পরিস্থিত জটিল হওয়ায় ঘটনা নিয়ে আলোচনায় বসছে ন্যাটো। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ন্যাটোর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে একটি জরুরি ভিত্তিক বৈঠক ডেকেছেন। সেখানে সামরিক কৌশল ঠিক হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ৩১ দেশের ন্যাটো একযোগে রাশিয়ার উপর হামলা চালাতে পারে বলেও শোনা গিয়েছে। যদিও সে খবর এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি, রাশিয়ার আগ্রাসন আতঙ্কে কাঁপছে গোটা পূর্ব-ইউরোপ। ইতিমধ্যে লিথুয়ানিয়ায় জরুরি অবস্থা জারি করার কথা ঘোষণা করেছে রাশিয়ার ইউক্রেনে ঢুক পড়ার পরেই।
রুদ্র নারায়ন রায়