খবর বলছে যে দ্য ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেটিভ কমিশন ওই দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে এ নিয়ে কথাবার্তা চালাচ্ছে। যদি সব কিছু ঠিক থাকে, তা হলে অচিরেই ফ্লোরিডার ঘরে ঘরে, রেস্তোরাঁর টেবিলে শোভা পাবে পাইথনের মাংসের নানা সুস্বাদু পদ!
জানা গিয়েছে যে দক্ষিণ ফ্লোরিডার এভারগ্লেডসে বার্মিড পাইথনের বংশবৃদ্ধি একটি দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের পক্ষে। তা মানুষের পক্ষে তো বটেই, এমনকি স্থানীয় বন্যপ্রাণের পক্ষেও বর্তমানে একটি উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেন না, খাদ্যের জোগানের জন্য অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রাণীদেরই গ্রাস করে থাকে এই বৃহৎ প্রজাতির সাপেরা। সে কারণে বাড়ির মালিকের অনুমতি সাপেক্ষে ফ্লোরিডার প্রশাসন নাগরিকদের পাইথন সাপ মারার ঢালাও অনুমতি দিয়েই রেখেছে বলে জানা গিয়েছে খবরে।
advertisement
সেই জায়গা থেকেই এ বার ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেটিভ কমিশন পাইথনের মাংস খাওয়া যায় কি না সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। পৃথিবীর অনেক দেশেই সাপের মাংস রীতিমতো সুস্বাদু এক পদ বলে গণ্য করা হয়। ফ্লোরিডার পাইথন হান্টার ডোনা কালিলেরও দাবি- খাওয়া গেলে পাইথনের মাংস জিভে ভালোই ঠেকবে! তা হলে ব্যাপারটা আটকাচ্ছে কোথায়?
খবর বলছে যে এভারগ্লেডসের পরিবেশে পারদের ভাগ না কি অত্যন্ত বেশি! সেই সূত্রে পাইথনের মাংসে পারদের উপস্থিতি কতটা, তা মানুষের শরীরের পক্ষে নিরাপদ হবে কি না, আপাতত সেই সব নিয়েই গবেষণাগারে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে যে পরীক্ষার জন্য নানা কোষ-কলা পাইথনের শরীর থেকে সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয়েছে গবেষণাগারে। এ বার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অনুমতিটুকু শুধু যা দেওয়া বাকি!