এর আগে মঙ্গলবারই খবর পাওয়া যায়, আমেরিকা-সহ ন্যাটোভুক্ত দেশগুলির কথা উপেক্ষা করেই রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইউক্রেনের (Ukraine Crisis) দুই রুশপন্থী অঞ্চলের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার রাতের ভাষণে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘‘আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে দোনেৎস্ক এবং লুগানস্কের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।’’
advertisement
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই বিষয়ে তিনি ইতিমধ্যে কথা বলে নিয়েছে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসকে জানিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতিক কারণেই এই দেশগুলিকে জানানো হয়েছে বলে খবর। স্বাভাবিক কারণে রাশিয়ার এই মনোভাব নতুন করে যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। একদিকে ক্রিমিয়া রয়েছে রাশিয়ার দখলে। এর পর এই দুই অংশও যদি ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে যায়, তাহলে তার শক্তি আরও কমবে।
আরও পড়ুন - ইউক্রেন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ভারত, পূর্ব ইউরোপে অশান্তির আশঙ্কা
এই পরিস্থিতিতে যদি এই দুই অংশ দেশের মধ্যেই রাখতে হয়, তাহলে যুদ্ধে অংশ নিতে হবে ইউক্রেনকে। না হলে কথা না বলে এই দুই অংশ ছেড়ে দিতে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে ইউক্রেনের তরফ থেকে তেমন কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন - ইউক্রেনের রুশপন্থী অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করলেন পুতিন, ইউক্রেন ঘিরে সঙ্কট চরমে
এ দিকে, ভারতের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জে বলা হয়েছে, এখনই দু দেশের অস্ত্র নামিয়ে রাখা উচিত। ভারত বলেছে, সমস্ত দেশের স্বার্থেই বর্তমানে তৈরি হওয়া অশান্তির পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে দুই দেশকে। এই অঞ্চলে দীর্ঘকালীন নিরাপত্তার ও শান্তির জন্য সিদ্ধান্ত নিতে হবে দুই দেশকে। এ ছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে ইউক্রেনে পাঠরত ভারতীয় পড়ুয়াদের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত জানিয়েছে, ২০ হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক, যার মধ্যে পড়ুয়ারাও রয়েছেন, থাকেন ইউক্রেনে, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।