আরও পড়ুনঃ লক্ষ্য ছিল ভারতের আগে চাঁদের মাটি স্পর্শের, শেষ রক্ষা হল না! থমকে গেল রাশিয়ার লুনা-২৫
একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিমানটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গের যাওয়ার পথে ভেঙে পড়ে। রাষ্ট্রীয় নিউজওয়্যার আরআইএ নভোস্তির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার জরুরি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনজন ক্রু সদস্যসহ বিমানের ১০ জনের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। রাশিয়ান অফিসারের কথায়, ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নামের একজন যাত্রী ভেঙে পড়া বিমানেই ছিলেন।
advertisement
সূত্রের খবর যে জেটটি ওয়াগনার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা প্রিগোজিনের। রয়টার্স জানিয়েছে যে প্রিগোজিন যাত্রী তালিকায় ছিলেন তবে তিনি ফ্লাইটে উঠেছিলেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। রোসাভিয়েতসিয়া পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আজ রাতে যে বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। যাত্রী তালিকা অনুসারে, তাদের মধ্যে ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নাম পাওয়া গেছে।”
গত জুন মাসে, বিদ্রোহী ওয়াগনার গ্রুপের পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সিএনএনের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টা পুতিনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। একই সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের এই খবর ইউক্রেনের জন্য স্বস্তির চেয়ে কম নয়।
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শুরু থেকেই পুতিনকে নিয়ে সোচ্চার। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের পরে তাঁর অবাধ্য আচরণ আরও বেড়েছে বলা দাবি করেছিলেন তিনি। চলতি বছরের জুন মাসে ওয়াগনার গ্রুপ পুতিনের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে সামনে দাঁড়িয়েছে। পুতিন স্বীকার করতে বাধ্য হন, রোস্তভ অন ডনের প্রধান সামরিক ঘাঁটি তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রিগোজিন একটা সময় পুতিন ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের কৌশল নির্ধারণ নিয়ে তার সঙ্গে পুতিনের সরকারে মন্ত্রীদের মতবিরোধ ঘটে।