ট্রাম্প বা আমেরিকার নাম না নিয়েও সে দেশের চাপানো ট্যারিফ প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, চিন বা ভারত অর্থনৈতিক ভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী দু’টো দেশ৷ তাদের নিজস্ব ঘরোয়া রাজনৈতিক সমীকরণ আছে আইন আছে৷ তাদের সঙ্গে ‘এই ভাবে’ কথা বলা যায় না৷
পুতিনের বক্তব্যের অনুবাদ করলে জানা যায়, ‘‘প্রায় ১০৫ কোটি মানুষের ভারত, কিংবা চিন, শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ৷ কিন্তু, তাঁদেরও তো নিজস্ব অন্তর্বর্তী রাজনীতি এবং আইন রয়েছে৷’’
advertisement
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘যখন কেউ বলছে, তারা তোমায় শাস্তি দেবে, তাদেরও এটা বোঝা উচিত, এই বিষয়টা ওই সমস্ত দেশের রাষ্ট্রনেতাদের উপরে কী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে? এগুলো সব বড় দেশ, তাদেরও একটা কঠিন ইতিহাস রয়েছে, আপনাকে বুঝতে হবে, ওঁরা যদি একজনও এর মুখে দাঁড়িয়ে দুর্বলতা দেখান, তাহলে তাঁদের রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে৷’’
পুতিন বলেন, ‘‘তাই এই বিষয়টা তাঁদের ব্যবহারের উপরেও প্রভাব ফেলবে৷ নিজের কূটনৈতিক সঙ্গীদের সঙ্গে এই ভাবে কথা বলা যায় না৷ শেষ পর্যন্ত সবকিছুই ঠিক হয়ে যায়৷ যা হওয়ার হয়ে যায়৷ কিন্তু, রাজনৈতিক কথাবার্তা আর বেশিদূর এগোয় না৷’’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এ-ও বলেন, বিশ্বে একনায়কতন্ত্র চলতে পারে না৷ এখানে কোনও একজন ব্যক্তিই হোমড়া চোমড়া নয়৷ এটা একটা ‘মাল্টিপোলার’ সিস্টেম৷