প্রায় এক মাস হাসপাতালে কাটিয়ে সবে বাড়ি ফিরেছিলেন। গাড়িতে বসে হাসিমুখেই হাত নেড়েছিলেন ক্যামেরার দিকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বাকিংহাম প্যালেসের তরফে দুপুরে প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হয়। একটি বিবিৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, 'অত্যন্ত ভারাক্রান্ত হৃদয়ে রানি তাঁর প্রিয়তম স্বামী, প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবরার মৃত্যুর কথা ঘোষণা করছেন। আজ সকালে উইন্ডসর প্রাসাদে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
advertisement
রানির স্বামী হিসেবে গোটা দুনিয়া তাঁকে চিনলেও ব্রিটেনের মানুষের কাছে রানির পরই তাঁর স্থান। ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস এলিজাবেথকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তাঁদের দীর্ঘ ৭৩ বছরের দাম্পত্যও ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে অনন্য নজির হয়ে রয়েছে। সঙ্কটের সময় রানির সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা ছিলেন তিনিই। শুধু তাই নয়, পুত্রবধূ ডায়ানার প্রতিও অত্যন্ত স্নেহ ছিল তাঁর। তাঁকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে রাজপরিবারের রক্ষণশীলতাকেও ভাঙতে কুণ্ঠা করেননি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
প্রিন্স ফিলিপ ও রানি এলিজাবেথের চার সন্তান, আটজন নাতি-নাতনি ও ১০ জন পুতি-পুতনি রয়েছে। ১৯৪৮ সালে প্রিন্স অফ ওয়েলস প্রিন্স চার্লসের জন্ম হয়েছিল। প্রিন্স ফিলিপ গ্রিক আইল্যান্ড কোরফুতে ১৯২১ সালে জন্মেছিলেন।
রাজ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। ডিউক অব এডিনবরার প্রতি শ্রদ্ধায় দেশের সর্বত্র জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা হয়নি। সময় মতো সব কিছু প্রকাশ্যে আনা হবে।