সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টা নিয়ে অবশ্য বেশ ভালো ভাবেই মুখ খুলেছেন পেশায় এই সাপ্লাই টিচার। জানিয়েছেন বিশদে যে এই অভিনব ব্যাপার কী ভাবে ঘটে গিয়েছে তাঁর জীবনে।
নিকোল জানিয়েছে যে তিনি এক ধরনের বিরল শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলা হয়ে থাকে ভ্যাজাইনাসমস। এক্ষেত্রে যোনিদেশের পেশি এতটাই শক্ত হয়ে থাকে যে তার অভ্যন্তরে কোনও কিছু প্রবেশ করানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই নিকোল জানিয়েছেন যে তিনি এবং তাঁর বয়ফ্রেন্ড সঙ্গমের চেষ্টা অনেক বার করেছেন। কিন্তু প্রতি বারেই মনে হত যে ওই পুরুষটি যেন দেওয়ালে ধাক্কা খাচ্ছেন! তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গম হয়নি, বদলে অন্য নানাবিধ উপায়ে পরস্পরকে তৃপ্ত করতেন তাঁরা।
advertisement
এই ভাবেই দিন কাটছিল। আচমকা একদিন কাজের মাঝে নিকোলের শরীরে তীব্র প্রদাহ শুরু হয়। সে কথা তিনি তাঁর বসকে জানান। তাতে ওই মহিলা বলেন যে নিকোল সম্ভবত অন্তঃসত্ত্বা! প্রাথমিক ভাবে তা হেসে উড়িয়ে দেন তিনি। কিন্তু এর পরে সেই দিনেই টেস্ট করলে তাঁর প্রেগনেন্সি রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
চিকিৎসকেরাও যে প্রথমে তাঁর কথা বিশ্বাস করতে চাননি, সেটা জানাতে ভোলেননি নিকোল। অবশেষে একজন বিশেষজ্ঞ তাঁকে পরীক্ষা করে বলেন যে ব্যাপারটা ঠিক কী ঘটেছে। তিনি বলেন যে সঙ্গম না হলেও বয়ফ্রেন্ডের স্খলিত বীর্য যোনির অভ্যন্তরে গিয়ে তাঁকে গর্ভবতী করে তুলেছে। তাঁর পরামর্শে ডায়ালেটর ব্যবহার করে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে অবশেষে সঙ্গমের স্বাদ নিতে সক্ষম হন তিনি। যদিও এই সময়ে তাঁর পাঁচ মাসের গর্ভাবস্থা চলছে!
জানা গিয়েছে যে নিকোল একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। তিনি মেয়ের নাম রেখেছেন টিলি। নিকোলের বলতে দ্বিধা নেই যে টিলি তাঁর জীবনে ঠিক যেন এক মিরাকল! পাশাপাশি, এই সারাটা সময়ে বয়ফ্রেন্ড যে ভাবে তাঁর পাশে রয়েছেন, তাঁর জন্য়ও তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।