পরীমনি গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁর বেশকিছু ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় ৷ সেগুলি নেট দুনিয়ায় ভালোমতোই ছড়িয়ে পড়ে ৷ তার অবশ্যই একটা কারণ হল, পরীমনির সঙ্গে একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ঢাকার এক পুলিশকর্তা মো. গোলাম সাকলায়েনকে ৷ অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও অনেক চর্চা শুরু হয় সর্বত্র, যা অবশ্য আজও থামে নি ৷ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে এসে পুলিশকর্তার সঙ্গে তাঁর ওই ভিডিও নিয়েও মুখ খুলেছেন পরীমনি ৷ বাংলাদেশের ‘সময় টিভি’-র খবর অনুযায়ী, পরীমনি জানিয়েছেন, তাঁর ফোনে থাকা ভিডিওগুলিই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
advertisement
Video Courtesy: Elias Hossain and Breaking News BD
ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশকর্তার জন্মদিন পালন হচ্ছে ৷ একটি নীল রঙের কেক কেটে সাকলায়েনকে নিজের হাতে তা খাইয়ে দিচ্ছেন পরীমনি ৷ শুধু হাতেই নয়, মুখে করেও কেকের টুকরো পুলিশকর্তাকে খাইয়ে দেন অভিনেত্রী ৷ যে ভিডিও ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি ৷ এ বিষয় নিয়ে এবার মুখে খুলেছেন নায়িকা স্বয়ং ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার ফোন, গাড়ি সব তদন্তকারীরা নিয়ে নিয়েছে। যেসব ভিডিও বাইরে এসেছে সেগুলি সব ওই ফোনেই ছিল। আমার ব্যক্তিগত ভিডিও লিক করার অধিকার কারও নেই।’’ পরীমনির দাবি, তাঁকে অনেক হেনস্থা করা হয়েছে ৷ যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজও পুলিশ খতিয়ে দেখেছে।
এর পাশাপাশি জেলে থাকাকালীন একটি চিঠি বিশেষভাবে তাঁকে শক্তি জুগিয়েছে বলেও জানিয়েছেন পরীমনি ৷ বাংলাদেশি নায়িকা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি চিঠি পোস্ট করে লিখেছেন 'নানু আমি ভালো আছি। কোনো চিন্তা করবা না। তোমার সাথে শিগ্রই দেখা দিব।' চিঠিতে রয়েছে পরীমণির দাদু শামসুল হক গাজীর সই। যা থেকেই বোঝা যায় এটি অভিনেত্রীর দাদু তাঁকে লিখেছেন।