প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে খবরটি টুইট করে জানানো হয়েছে। আর সেই টুইটে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গিয়েছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল সহ ভারত ও ইউক্রেনের পদস্থ আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন ওই বৈঠকে।
শনিবার জি-৭ সম্মেলনের প্রথম দফাতেই আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন-এর সঙ্গে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয় প্রধানমন্ত্রীর। পাশাপাশি ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ আর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন মোদি। এছাড়া দক্ষিন কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া আর ভিয়েতনামের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা সেরে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে জেলেনস্কির সঙ্গে মোদির ওই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
advertisement
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মোদি-জেলেনস্কির মুখোমুখি সাক্ষাৎ না হলেও ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত মাসে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী এমিল জাপারোভা ভারত সফরে এসেছিলেন। সেটিই ছিল ওই দেশের কোনও মন্ত্রীর যুদ্ধ-পরবর্তী প্রথম ভারত সফর। ওই সফরে এমিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
আরও পড়ুন, সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষ, অবশেষে সিবিআই দফতর থেকে বের হলেন অভিষেক
আরও পড়ুন, ‘দিল্লির পোষা কুকুর হয়ে থাকব না, রয়্যাল বেঙ্গল হয়ে মরা ভাল,’ বিস্ফোরক অভিষেক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর জাপানের সংবাদমাধ্যম ইউমিউরি শিমবুন-কে তাঁর প্রতিক্রিয়ায় মোদি জানিয়েছেন, ভারত বরাবর যে কোনও বিরোধ মেটানোর জন্য আলোচনা ও দৌত্যের নীতিতে বিশ্বাস করে। এক্ষেত্রেও যে কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চ এমনকি রাষ্ট্রসংঘেও ওই বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পরে মোদির ওই অবস্থান ঘোষণা নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।