চিনের এক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে (২০ নভেম্বর) ঘটনাটি ঘটে। হঠাৎই মালকিনের সঙ্গে তাঁর স্বামীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলেন মহিলা। পরে লোক জানাজানি হতেই, ওই ব্যক্তিকে বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দী করা হয়। যথেষ্ট মাত্রায় ভাইরালও হয়েছে ফুটেজটি। ভিডিওয় প্রথমে দেখা যাচ্ছে, অর্ধনগ্ন অবস্থায় বিছানায় তাঁর মালকিনের সঙ্গে পড়ে রয়েছেন ব্যক্তি। একটু পরেই দেখা যাচ্ছে, অসহ্য যন্ত্রণায় কাঁদছেন ওই ব্যক্তি। কারণ তাঁর হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আশপাশে কয়েকজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। এঁরা সবাই মিলে ওই ব্যক্তিকে বাঁশের খাঁচায় ঢোকাচ্ছেন। আর অন্য দিকে, ঘরের এক কোণে প্রায়-নগ্ন এক মহিলা একটা তোয়ালে দিয়ে নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করছেন।
advertisement
আপাতদৃষ্টিতে দেখলে, এই শাস্তি অনেকটাই নৃশংস মনে হয়। অনেকে সে কথা প্রকাশও করেছেন। কিন্তু এই শাস্তির সঙ্গে এক সুপ্রাচীন ইতিহাসের যোগ রয়েছে। চিনের প্রাচীন ও বহু প্রচলিত ভাষা ম্যানডারিন থেকে অনুবাদ করলে, এই শাস্তির নাম হয় Dip In A Pig Cage। প্রাচীনকাল চিনে মিং ও কুইং রাজবংশের আমলেও এর অস্তিত্ব ছিল। তখনও অপরাধীর হাত-পা বেঁধে, তাকে খাঁচায় ভরে নদীতে ফেলে দেওয়া হত। যাতে সাঁতার কেটে পালাতে না পারে। অসহ্য কষ্টে ও যন্ত্রণায় ডুবে মৃত্যু হত অপরাধীর।
এই বিশেষ শাস্তিপ্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক গবেষণাও হয়েছে। অনেকের মতে, যে ভাবে শূকরগুলিকে খাঁচায় বন্দী করে এনে পরে নৃশংস ভাবে হত্যা করা হয়, ঠিক সে ভাবেই পরকীয়ার অপরাধের জন্য এই নির্মম শাস্তি দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশের আইনে এই ধরনের কোনও শাস্তির জায়গা নেই। তবে এখনও এই বিশেষ শাস্তির প্রথা মেনে চলে গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশ।
অন্য দিকে Daily Mail জানাচ্ছে, দ্রুত খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের উদ্যোগে অভিযুক্তকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।