জীবন আহমেদ নামক ওই চিত্র-সাংবাদিক যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই ছবিটির জন্য, তার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বঘোষিত নৈতিক পুলিশদের আক্রমণের শিকারও হয়েছেন তিনি । তাঁদের দাবি ইচ্ছাকৃত ভাবে অশ্লীলতা ছড়াচ্ছেন তিনি । একজন মন্তব্যও করেছেন যে সেদিন আসতে আর বেশি দেরি নেই যখন যুগলরা প্রকাশ্যে নোংরামির সব মাত্রাই ছাড়িয়ে যাবেন । জীবনের বিরুদ্ধে মহিলা নির্যাতনের ও ধর্ষকামের প্রবণতা ছড়ানোর মত অভিযোগও উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ।
advertisement
কিন্তু এখানেই শেষ নয় । 'পূর্বপশ্চিম' নামে একটি খবরের ওয়েবসাইটে কাজ করতেন জীবন । সহকর্মী সাংবাদিকদের থেকেও প্রভূত সমালোচনা ও আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে জীবনকে । এবং শেষ পর্যন্ত কোনও কারণ না দেখিয়েই তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। জীবন জানিয়েছেন এই ছবিটি নিয়ে ওই যুগলের কোনও আপত্তি নেই ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের নির্বাচনে ব্যাহত হয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, জানাল ইউরোপীয় পর্যবেক্ষক দল
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ঢাকা শহরে খুন হয়েছিলেন ব্লগার অভিজিৎ রায় । অভিজিৎবাবু ও তাঁর স্ত্রী রাফিদা বেগমকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছিলেন এই জীবন আহমেদই । এই ঘটনার জেরেও প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি ও শেষপর্যন্ত চাকরি হারিয়েছিলেন ।
বাংলাদেশে বেশ কয়েক বছর ধরেই চরমপন্থার শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন ব্লগার ও সাংবাদিক । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই হাত ধরার 'অপরাধে' মারধোর করা হয় কয়েকজন পড়ুয়াকে । জীবনের ঘটনা আরও একবার বাংলাদেশের স্বঘোষিত নৈতিকতার প্রসঙ্গটি তুলে ধরেছে ।