আরও পড়ুন- ইউক্রেনে গুলিবিদ্ধ আরও এক ভারতীয় ছাত্র, ভর্তি কিভের হাসপাতালে
পিটিআই সূত্রের খবর, ঐতিহাসিক কিসা খাওয়ানি বাজার এলাকার জামিয়া মসজিদে (Jamia Mosque) যখন শুক্রবারের নামাজ পড়ছিলেন প্রার্থনাকারীরা তখনই বিস্ফোরণ (Peshawar Mosque Blast) ঘটে। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ (Pakistan’s Interior Minister Sheikh Rashid) এটিকে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলেই নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কালো পোশাকের ওই সন্ত্রাসবাদী প্রথমেই একজন নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করে এবং তারপর পাঁচ ছ’টি গুলি চালায়। এর পরেই মসজিদের ভেতরে যেখানে মানুষরা প্রার্থনা করছিলেন সেখানে ছুটে গিয়ে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় ওই সন্ত্রাসবাদী। অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছে, মসজিদে বিভিন্ন পৃথক জায়গায় বসে প্রার্থনা জানানো যায়। ফলে বিস্ফোরণের পরে সারা মসজিদ জুড়েই ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মানুষের মৃতদেহ।
advertisement
জিওনিউজ সূত্রের খবর, “তাড়াতাড়ি ছুটে মসজিদের প্রার্থনাগৃহে ঢুকে পড়ে ওই সন্ত্রাসবাদী এবং আত্মঘাতী বোমায় নিজেকে উড়িয়ে দেয়, বিস্ফোরণের পরে সারা মসজিদ জুড়ে রক্ত আর মাংসের দলা পড়েছিল কেবল।”
আরও পড়ুন- বিহারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ! ৬ মাসের শিশু সহ মৃত ১০, নীতিশ কুমারকে ফোন প্রধানমন্ত্রীর
এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীই অবশ্য এই হামলার (Peshawar Mosque Blast) দায় স্বীকার করেনি। লেডি রিডিং হাসপাতালের মিডিয়া ম্যানেজার মহম্মাদ অসীম জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৩০টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দশজনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। পেশোয়ারের পুলিশ আধিকারিক ইজাজ আহসান জানিয়েছেন, দুই হামলাকারী মসজিদে প্রবেশের চেষ্টা করে এবং ওই স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে একজন পুলিশ নিহত এবং অপরজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এই গোলাগুলি চলার পরপরই বিস্ফোরণ ঘটে বলেও তিনি জানান।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং অবিলম্বে রিপোর্ট দাবি করেছেন।