গতকাল রাতেই কাবুলের আকাশবাতাস কাঁপিয়ে ঢোকে একটা যুদ্ধবিমান৷ পর পর দু’টো বিস্ফোরণ ঘটায় সেখানে৷ গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই দফা তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) প্রধান নুর ওয়ালি মেহসুদের আস্তানা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে৷ মেহসুদ পূর্ব কাবুলের টিটিপি এবং আল-কায়েদা সেফ হাউস থেকে সংগঠন পরিচলনা করছিলেন৷
advertisement
কিছু সূত্র দাবি করেছে, পাকিস্তানের এই বিমানহানায় মেহসুদের বাড়ির চত্বর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে৷ যদিও CNN-News18 -র হাতে একটি ভিডিও বার্তা এসেছে, যেখানে মেহসুদ দাবি করেছেন, তিনি নিরাপদ রয়েছেন এবং পাকিস্তানে রয়েছেন৷ তবে হামলায় তাঁর ছেলের মৃত্যু হয়েছে৷
এই বিমানহানার ঠিক ৪৮ ঘণ্টা আগেই কড়া হুমকির সুর শোনা গিয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খ্বজা আসিফের মুখে৷ খ্বজা আসিফ বলেছিলেন,‘‘আফগানিস্তানেরমাটি যদি পাকিস্তান বিরোধী সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের আঁতুড়ঘর হয়ে যায়, তাহলে তার ফল ভুগতে হবে ওদের৷ হয় পাকিস্তান নিজে, অথবা কোনও পাক শরিক জোটের তরফে এর উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে৷’’
আরও পড়ুন : কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস ! বর্ষা বিদায় নেবে কবে?
পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই হুমকির পর পরই কাবুলে এই বিমানহানা৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, মেহসুদের পরিবারের উপরে এই হামলা টিটিপি-র অন্দরে একটা টানাপড়েন সৃষ্টি করবে৷ কারণ, ইতিমধ্যেই তা কাবুলপন্থী এবং রাওয়ালপিন্ডি পন্থী গোষ্ঠীতে বিভক্ত৷ বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, কাবুলে ঢুকে এই ভাবে বিমানহানা চালানোর পরে আফগান-পাক সীমান্তবর্তী কুনার, নাংগারহার, পাকতিতা অঞ্চলে অশান্তি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে৷ এতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান সরকারের মধ্যে সম্পর্ক আরও খারাপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷