পাকিস্তান-তুরস্ক-আজারবাইজানের ত্রিপাক্ষিক সম্মেলনে আজারবাইজানের লাচিনে একটি সাংবাদিক বৈঠকে শেহবাজ বলেন, ‘‘পাক ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের নেতৃত্ব পাক সেনা ১০ মে ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ সকালের প্রার্থনার পরে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল৷ কিন্তু, ভোরের আগেই পাকিস্তাবে বিভিন্ন সেনাঘাঁটি এবং গুরুত্বপূর্ণ লোকেশন লক্ষ্য করে ব্রহ্মমস মিসাইল বর্ষণ শুরু করে ভারত৷’’ ভারতের হামলায় রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দরকেও টার্গেট করা হয়েছিল বলে ওই বৈঠকে জানিয়েছেন শেহবাজ৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আপনি থাকবেন নাকি সেটা দেখুন,’ মোদিকে কোন কথা মনে করালেন মমতা, ‘নীতি’ নিয়ে তোপ
উনি বলেন, ‘‘আমাদের অ্যাটাকের আগেই নূর খান (রাওয়ালপিন্ডি) বেস, এবং মুরিদ (চাকওয়াল)-এ হামলা চালায় ভারত৷’’ সামরিক কৌশলগত দিক থেকে এই দু’টি বিমানঘাঁটিই পাকিস্তানের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ছিল৷
অপারেশন সিঁদুরের অংশ হিসাবেই ৯-১০ মে-র মধ্যবর্তী রাতে পাকিস্তানের একাধিক সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল ভারত৷ ব্যবহার করা হয়েছিল সুপারসোনিক মিসাইল ব্রহ্মমস৷ অন্যদিকে, পাকিস্তানের ড্রোন ও মিসাইল হামলাও এস-৪০০ এবং আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে আকাশেই ধ্বংস করে দেয় ভারত৷
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পরে ‘অপারেশন বাংলা’! নামকরণে আসলে রাজনীতি, কটাক্ষ মমতার
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মুর পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই জঙ্গিদমন নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করে ভারত। প্রত্যাঘাত হিসাবে গত ৭ মে রাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ন’টি জঙ্গিঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। লক্ষ্য করা হয়েছিল মূলত জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এবং লশকর-এ-ত্যায়বার (এলইটি) গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এবং লঞ্চিং প্যাড।