এই রিজার্ভ দিয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহ মতো আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে, ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ফলে সব মিলিয়ে পাকিস্তান আইএমএফের সব শর্ত মেনে নেবে কি না, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে আবার।
আরও পড়ুন - পুতিনের হুমকিতে কাত আমেরিকা! ইউক্রেনকে এফ ১৬ জেট দেবেন না প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন
advertisement
দেশটি দীর্ঘদিন সামরিক শাসনের অধীন ছিল। এখন সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় না থাকলেও পেছন থেকে ক্ষমতার কলকাঠি নাড়ে। আর এ সবকিছুর সম্মিলিত ফল হল অর্থনৈতিক সংকট। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান জানায়, ডিসেম্বরে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ৩৬০ কোটি ডলারে।
বিদেশি ঋণের সুদ ও কিস্তি দিতে গিয়ে দেশটির রিজার্ভ ২০১৪ সালের এপ্রিল-পরবর্তী সময়ে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। খোলাবাজারে প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য পড়ছে ২৬০ থেকে ২৭০ রুপি। দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বরাবরই আইএমএফের ঋণ নেওয়ার বিরুদ্ধে ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি আইএমএফের শর্ত মেনে ভর্তুকি কমাতে চাননি।
তিনি ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশটির নতুন সরকার আইএমএফের শর্ত মেনে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি করে এবং শেষমেশ আইএমএফের ঋণ পায় ১১০ কোটি ডলার। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাকিস্তানের শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় আইএমএফের ঋণ না নিলে পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে যাবে।
দেশে যত শ্রমিক ছিলেন, তাঁদের মধ্যে বহু মানুষ কাজ না পেয়ে ভিক্ষুক হয়ে যাচ্ছেন, এমনই ভয়ঙ্কর কথা জানাচ্ছে পশ্চিমের একাধিক সংবাদমাধ্যম। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করা হয়েছে। কিন্তু তাতে বিপর্যয় ঠেকানো যাবে কি? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ। এদিকে পাকিস্তানে পৌঁছেছে, আইএমএফ দল। তারা আগামী ৯ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখবে।