তাদের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এক তরুণী ও এক তরুণ – বানো বিবি ও আহসান উল্লাহ। তারা সম্প্রতি বিয়ে করেছিলেন, নিজেদের পছন্দে। কিন্তু সেটাই যেন হয়ে দাঁড়াল তাদের মৃত্যুদণ্ডের কারণ। এমন ঘটনায় তাদের প্রকাশ্যে যা শাস্তি দেওয়া হল তা ভাবতেও পারবেন না৷
advertisement
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বানো বিবি চোখে চোখ রেখে বলে উঠছেন, “আমি আইনত বিবাহিত। এসো, আমার সঙ্গে সাত পা হাঁটো, তারপর গুলি কর।”
ওই মহিলার গলায় ছিল সাহসের দৃঢ়তা, কোনও ভয় বা কান্নার চিহ্ন ছিল না। কিন্তু কেউ শুনল না তার কথা। এক বন্দুকধারী এগিয়ে এসে পরপর তিনবার গুলি চালান বানোর দিকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই, তার স্বামী আহসানকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর আরেক ব্যক্তি এগিয়ে এসে আরও গুলি চালায়। মুহূর্তের মধ্যে নিস্তব্ধতা ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। যারা ওই দম্পতিকে খুন করল, তারা তখন আনন্দে মেতে৷
আরও পড়ুন: গ্যাস, পেটব্যথায় মৌরি নয়, এক চিমটে ‘এই’ জিনিসেই মিলবে আরাম! জানুন কীভাবে, কখন খাবেন…
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পাকিস্তানে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে। মানবাধিকার কর্মীরা দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাতে থাকেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যার মধ্যে কনের ভাই এবং এক আদিবাসী নেতা রয়েছেন, যিনি এই হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখনও ৯ জন পলাতক।
এই ঘটনা পাকিস্তানে তথাকথিত ‘সম্মান রক্ষার’ নামে হওয়া হত্যার নির্মম বাস্তবতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে যায়—ভালোবাসা আর নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা যদি মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে মানবতা কোথায়?