নির্বাচনের ফল মোটের উপর স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশ্যে নওয়াজ শরিফ বলেন, বার বার নির্বাচন করা সম্ভব নয়৷ দেশের সব প্রতিষ্ঠান, প্রত্যেককে পাকিস্তানকে এই সঙ্কট থেকে বের করে আনার জন্য এগিয়ে আসতে হবে৷
আরও পড়ুন: শেষ বেলায় কাঁপুনি ধরাতে ফিরছে শীত, ৮ জেলায় শৈত্য প্রবাহের সতর্কতা
advertisement
রাত ৮টা পর্যন্ত ভোট গণনার যে ফল পাওয়া গিয়েছে, সেই অনুযায়ী পাকিস্তানের সংসদের ২৬৫টি আসনের মধ্যে নির্দলরা এগিয়ে ছিলেন ৯০টি আসনে৷ নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল এগিয়ে ছিল ৬২ আসনে৷ এ ছাড়াও বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপি এগিয়ে ছিল ৫১টি আসনে৷ এমকিউএম এগিয়ে ছিল ১১টি আসনে৷
তবে সবথেকে বেশি সংখ্যক আসনে এগিয়ে রয়েছেন নির্দলরাই৷ যাঁদের পিছনের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থন রয়েছে৷ নওয়াজ শরিফ অবশ্য দাবি করেছেন, নির্বাচনের ফল থেকে স্পষ্ট ভোটের ফলাফলে বৃহত্তম দল হিসেবে জয়ী হয়েছে পিএমএল-ই৷
পাকিস্তানের নির্বাচনে কোনও দলই যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না, ভোটের আগে সমীক্ষাতেই সেই সম্ভাবনা উঠে এসেছিল৷ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অবশ্য তুমুল অশান্তি হয় পাকিস্তানে৷ এমন কি, জঙ্গি হানার ঘটনাও ঘটেছে৷ প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন৷
ইতিমধ্যেই সরকার গঠনের জন্য নিজের ভাই এবং পাকিস্তানের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে পিপিপি-র আসিফ আলি জারদারি, জেইউআই-এর ফজলুর রহমানের মতো নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন নওয়াজ শরিফ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, শেহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছেন জারদারি৷ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের মসনদে কে বসেন, সেটাই এখন দেখার৷