এদিন সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে পাক জাতীয় আইনসভার ২৭২টি আসন ও বালুচিস্তানের ১৬, পঞ্জাবের ১৪১টি, সিন্ধের ৬১টি আসন, খাইবার পাখতুনখোয়ার ৩৯টি আসন, ইসলামাবাদের ৩ এবং স্বশাসিত উপজাতি অঞ্চলের ১২ টি আসনে একসঙ্গে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ ৷ ৮৫ হাজার পোলিং স্টেশনে ভোট চলবে সন্ধে ৬টা অবধি ৷ ভোট দেবেন ১০ কোটি ৫৯ লক্ষ ৫৫ হাজার ৪০৭ জন পাক ভোটার ৷ বুথ সংখ্যা ২ লক্ষ ৪১ হাজার ১৩২ ৷
advertisement
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ও চারটি প্রভিন্সিয়াল কাউন্সিল দখলে ভোটের লড়াইয়ে কমবেশি ১১০টি রাজনৈতিক দল। তবে সরকার গড়ার জায়গায় কোনও দল আদৌ পৌঁছবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
এখন নওয়াজ শরিফের দলের সঙ্গে ইমরান খানের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকে গোটা বিশ্বের নজর ৷ পাক জনতার রায়ে কে করবে বাজিমাত এখন সেটাই দেখার ৷ তবে এটা নিশ্চিত এবারের ভোটে পাক প্রধানমন্ত্রীর আসনে দেখা যাবে নতুন মুখ ৷
আরও পড়ুন
লোয়ার নার্সারির পড়ুয়াকে নৃশংস শাস্তি, গৃহশিক্ষিকাকে ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ আদালতের
মূলত লড়াই নওয়াজের পাকিস্তান মুসলিম লিগের সঙ্গে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের ইমরান খান ৷ তবে মসনদের লড়াইয়ে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আসিফ আলি জারদারি, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ৷ জনমত সমীক্ষা বলছে ইমরান খানের নতুন পাকিস্তান গড়ার স্বপ্নেই মজেছেন দেশের অধিকাংশ জনগণ ৷ গণতান্ত্রিক পাকিস্তানে বরাবরই সেনাতন্ত্রের প্রভাব দেখা গিয়েছে ৷ গণতন্ত্রের মোড়কে প্রতিবেশী দেশে বকলমে দেশ চালায় সেনা এমনই শোনা যায় ৷ নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার আগে সমীক্ষায় আভাস, কমবেশি ১০০টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল হিসাবে উঠে আসবে ইমরানের তেহরিক- ই- ইনসাফ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় সরকার গঠনে তৈরি হতে পারে সংকট।
২৭২টি আসনে ভোট হলেও পাক জাতীয় আইনসভার মোট আসন সংখ্যা ৩৪২ ৷ ম্যাজিক ফিগার ১৭২ ৷ ক্ষমতা দখলের জন্য ১৩৭টি আসন পেলেই চলবে ৷ কারণ মহিলা ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসনগুলি সমানুপাতে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে বণ্টন করা হবে ৷