পাক পত্রিকা ‘দ্য ডন’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডির একটি প্লাজার বেসমেন্টে এত পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হয়েছে যে, এফআইএ-র আধিকারিকরাও রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছেন। ওই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, অর্থ উদ্ধারের পাশাপাশি ওই বেসমেন্টে ১৩টি ডিজিটাল লকার পাওয়া গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে সেগুলি খোলার চেষ্টা করা হলেও এখনও পর্যন্ত তা খোলা যায়নি। এছাড়া ঝিলাম শহরেও একই ধরনের বেসমেন্ট এবং লকার উদ্ধার হয়েছে। এখান থেকে দেশি মুদ্রা তো উদ্ধার হয়েছেই, সেই সঙ্গে লকারে মিলেছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও। বর্তমানে পাকিস্তানের কাছে সব মিলিয়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। এর মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলার আইএমএফ, ২ বিলিয়ন ডলার সৌদি আরবের এবং ১ বিলিয়ন ডলার সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও চিনের।
advertisement
পাক মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি এফআইএ দল মিলে দুই সপ্তাহ ধরে বৈদেশিক মুদ্রাধারী এবং মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। এতে সাহায্য করছে সেনাবাহিনী ও আইএসআই। পাক সেনাবাহিনীর রাওয়ালপিন্ডি সদর দফতর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে একটি প্লাজায় মুদ্রা লুকিয়ে রাখার বিষয়ে গোপন তথ্য পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ফলে খবর পাওয়া মাত্রই তদন্তকারী আধিকারিকরা সেখানে অভিযান চালান। প্লাজাটির ডবল বেসমেন্টের পার্কিংয়ের জায়গায় একটি ছোট্ট লোহার গেটও পাওয়া গিয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত নির্মাণ সরঞ্জামও মজুত করা ছিল।
আরও পড়ুন- ৩২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পত্তি ! চেনেন চতুর্দশ শতাব্দীতে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিকে?
তদন্তকারীরা বাইরের দেওয়াল ভাঙার পরে একটি বিকট শব্দ শুনতে পান। বুঝতে পারেন যে, পিছনে একটি খালি জায়গা রয়েছে। দেওয়াল ভাঙার পরেই মেলে ছোট্ট গোপন দরজাটি। যার পিছনে ছিল ১৩টি লোহার ডিজিটাল লকার। এর জন্য জোরদার রাখা হয়েছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। এমনকী বসানো হয়েছিল ক্যামেরাও। এই ঘটনায় ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডন টিভি-র পক্ষ থেকে দাবি, রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ৪০ কোটি পাকিস্তানি রুপি উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও এফআইএ খোদ এই তথ্য দেয়নি, বরং মিডিয়ার প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, উদ্ধার হওয়া বিদেশি ও স্থানীয় মুদ্রা একত্র করলে পরিমাণ হবে কোটি কোটি টাকা। এমনকী, ধৃতদের বিষয়ে কিছুই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। খুবই গোপনীয়তা বজায় রেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।