TRENDING:

Pakistan Army: কার্গিল যুদ্ধের সময় দেহ ফেরাতে চায়নি পাকিস্তান, সেই শহিদ ক্যাপ্টেনকেই ঘটা করে শ্রদ্ধা সেনাপ্রধান অসিম মুনিরের!

Last Updated:

নিজের দেশ মুখ ফেরালেও পাক সেনার এই নিহত ক্যাপ্টেনকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েছিল ভারতীয় সেনা৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধে নিহত হওয়ার পর তাঁকে নিজেদের সেনা বলেই স্বীকৃতি দেয়নি পাকিস্তান৷ এমন কি, দেহও ফেরাতে রাজি হয়নি ইসলামাবাদ৷ কার্গিল যুদ্ধের ২৬ বছর পর কার্গিল যুদ্ধে নিজেদের সেই শহিদ সেনা জওয়ানকেই শ্রদ্ধা জানালেন পাক সেনাপ্রধান অসিম মুনির৷
নিহত ক্যাপ্টেন শের খানকে শ্রদ্ধা জানালেন পাক সেনাপ্রধানের৷ সৌজন্যে এক্স
নিহত ক্যাপ্টেন শের খানকে শ্রদ্ধা জানালেন পাক সেনাপ্রধানের৷ সৌজন্যে এক্স
advertisement

১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হন পাক সেনার ক্যাপ্টেন কার্নাল শের খান৷ কিন্তু সেই সময় পাকিস্তান তাঁকে নিজেদের বাহিনীর সদস্য বলেই মানতে চায়নি৷ অথচ গতকাল সেই শহিদ সেনা আধিকারিকের মৃত্যুবার্ষিকীতে খাইবার পখতুনখাওয়া প্রদেশে নিহত সেনা কর্তার স্মৃতিসৌধে হাজির হয় আন্তরিক সমবেদনা এবং শ্রদ্ধা জানান পাক সেনাপ্রধান অসিম মুনির৷ যা পাকিস্তানের দ্বিচারিতাকে আরও একবার প্রকাশ্যে নিয়ে এল৷

advertisement

১৯৪৭ সাল এবং ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান সামরিক সংঘাতের সময়ও ইসলামাবাদ ভারতীয় বাহিনীর হাতে নিহত নিজেদের বহু সেনা জওয়ান এবং আধিকারিককে স্বীকৃতি দিতে চায়নি৷ কারণ ভারতের সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে মুখ পোড়ানোর পর দায় এড়াতেই এই পথ নিত ইসলামাবাদ৷ নিজেদের বাহিনীর সদস্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বদলে নিহত সেনা জওয়ানদের মুজাহিদিন বলে দাবি করত পাকিস্তান৷

advertisement

নিজের দেশ মুখ ফেরালেও পাক সেনার এই নিহত ক্যাপ্টেনকে তাঁর প্রাপ্য মর্যাদা দিয়েছিল ভারতীয় সেনা৷ ভারতীয় সেনার আধিকারিক ব্রিগেডিয়ার এমপিএস বাজওয়া (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) কার্গিল যুদ্ধের সময় ১৯২ মাউন্টেন ব্রিগেড-এর নেতৃত্বে ছিলেন৷ কার্গিল যুদ্ধে পাক সেনার দখল নেওয়া টাইগার হিলকে ফের নিজেদের দখলে আনার ভার পড়েছিল ব্রিগেডিয়ার বাজওয়া এবং তাঁর বাহিনীর উপরে৷ সেই লড়াইয়েই প্রাণ হারান ক্যাপ্টেন শের খান৷

advertisement

শত্রু পক্ষের হলেও নিজের দেশের হয়ে ক্যাপ্টেন খান যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছিলেন, তাতে মুগ্ধ হয়েছিলেন ভারতীয় সেনার ব্রিগেডিয়ার বাজওয়াও৷ দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর দেহ ফেরানোর সময় ক্যাপ্টেন খানের সাহসিকতার প্রশংসা করে কয়েক লাইন লিখে তাঁর উর্দির পকেটে একটি চিরকূট ভরে দিয়েছিলেন ব্রিগেডিয়ার বাজওয়া৷ শেষ পর্যন্ত এই চিরকূটই ক্যাপ্টেন খানের দেহ শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিল৷

ভারতীয় সেনার এই স্বীকৃতিই পরবর্তী সময়ে পাকিস্তানের জন্য ক্যাপ্টেন খানের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিতে সাহায্য করে৷ ক্যাপ্টেন খান কীভাবে নিজের দেশের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, ভারতীয় সেনা অফিসারের লেখা ওই চিরকূট থেকেই তা জানা গিয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত, ক্যাপ্টেন খানকে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান মরণোত্তর নিশান-এ-হায়দার দিয়ে ভূষিত করা হয়৷

ক্যাপ্টেন খানের মতোই ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে নিহত বহু সেনা আধিকারিক এবং জওয়ানের দেহ প্রথমে ফেরাতে অস্বীকার করে পাকিস্তান৷ এর পর ইন্টারন্যাশনাল কমিটি ফর দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)-র মাধ্যমে ১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই দেহগুলি ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে ভারত৷ যদিও ওই নিহত সেনা জওয়ান এবং পদাধিকারীদের নাম প্রকাশ্যে না আনার জন্য আইসিআরসি-কে অনুরোধ করে ইসলামাবাদ৷

১৯৯৯ সালের ১৫ জুলাই ওয়াশিংটনের ভারতীয় দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, কার্গিল যুদ্ধে নিজেদের সেনার ভূমিকা অস্বীকার করার জন্যই ক্যাপ্টেন খানের দেহ নিতে চাইছে না পাকিস্তান৷

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
Pakistan Army: কার্গিল যুদ্ধের সময় দেহ ফেরাতে চায়নি পাকিস্তান, সেই শহিদ ক্যাপ্টেনকেই ঘটা করে শ্রদ্ধা সেনাপ্রধান অসিম মুনিরের!
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল