আফগানিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মাটিন কোয়ানি জানান, ‘‘কুনার প্রদেশে ৬১০ জন নিহত এবং ১,৩০০ জন আহত হয়েছে, এবং অসংখ্য বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।’’ নগারহার এলাকায় ১২ জন নিহত এবং আরও ২৫৫ জন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: টয়লেটে ১ চামচ ফেলে দিন মাত্র ২ টাকার এই জিনিস! নোংরা দাগ, দুর্গন্ধ গায়েব, মিনিটে ঝকঝক করবে বাথরুম
advertisement
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কুনার প্রদেশে তিনটি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে রয়েছে নুরগাল, চকাই এবং ওয়াতাপুর এবং বাখতার। শক্তিশালী কম্পনের কারণে ধ্বংস এবং ধ্বংসাবশেষের নিচে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। আফগানিস্তানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শরাফত জামান এক বিবৃতিতে জানান, ‘‘ক্ষয়ক্ষতি এবং আহতের সংখ্যা বেশি, কিন্তু যেহেতু এলাকা অ্যাক্সেস করা কঠিন, আমাদের দলগুলি এখনও সাইটে রয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, রবিবার মধ্যরাতে পরপর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আফগানিস্তানের জালালাবাদ। প্রথম ভূমিকম্প হয় রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৬। এরপর আরও চারটি আপনার শক। শেষ ভূমিকম্প সকাল পাঁচটা নাগাদ। রিক্টর স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.২। আফগানিস্তানের জালালাবাদ শহরের কাছে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। পাকিস্তানের পেশোয়ার থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে। এটি ১০ কিলোমিটার মাটির নীচে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বলে অনুমান।
যদিও আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানাচ্ছে, কম্পনের মাত্রা ছিল ৬। এর পর ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পনে বেশ কয়েক বার কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। তার মধ্যে অন্তত দু’টি কম্পনের মাত্রা ছিল ৫। এর ফলে পাকিস্তানের বেশ কিছু এলাকা, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর এবং দিল্লির আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।