ঘটনাটি নিজেদের Facebook পেজে ভিডিও মারফত শেয়ার করেছেন তারা। সেই ভিডিওর শুরুটা হয়েছে বেশ কাব্যিক ভাবে। দেখা যাচ্ছে ফ্লোরিডা এভারগ্লেডসের ঘাসে ঢাকা জলভূমির উপর দিয়ে সূর্যোদয় হচ্ছে। জলে নিজেদের এয়ারবোট ভাসিয়ে দিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। জানা যাচ্ছে যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাঁরা লার্জমাউথ ব্যাশ নামের এক ধরনের মাছ ধরতে বেরিয়েছেন।
ভিডিওটির পরের অংশ আমাদের নিয়ে যায় ল্যাবরেটরিতে। দেখা যায় যে টেবিলের উপরে বেশ কিছু মাছ গাদা করে রাখা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা খুঁটিয়ে দেখছেন সেগুলো, কোন মাছের লিঙ্গ কী তা টুকে রাখছেন খাতায়। এমন সময়ে এক বিজ্ঞানীর নজরে আসে যে একটি মাছের পেটের ভিতরে কী একটা নড়া-চড়া করছে! এর পর সেই মাছের পেট কাটার পরে অবাক হয়ে যান তাঁরা!
advertisement
কেন না, সেই মাছটির পেটের ভিতরে তাঁরা দেখতে পান একটা জ্যান্ত কচ্ছপ। সে বহাল তবিয়তেই রয়েছে! ভিডিওটির শেষ অংশটিও বেশ কাব্যিক, সেখানে দেখা যায় যে বিজ্ঞানীরা কচ্ছপটিকে সূর্যাস্তের কাছাকাছি এক সময়ে জলে ছেড়ে দিয়েছেন। সে দেখতে দেখতে মিলিয়ে যাচ্ছে গভীর জলে।
ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিশনের বিজ্ঞানীদের দাবি- একটা মরা মাছের পেটের ভিতর থেকে জ্যান্ত কচ্ছপ বেরোনোটা মোটেই স্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়! ফলে, কী ভাবে তা সম্ভব, এই নিয়ে আপাতত তাঁদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা জারি রয়েছে। যদিও এই সম্পর্কে আপাতত স্রেফ একটা অনুমান দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন তাঁরা। বলছেন- হতে পারে কচ্ছপটাকে গিলে ফেলার কিছুক্ষণের মধ্যেই মাছটা জালে ধরা পড়েছিল; সে কারণে হয় তো কচ্ছপটাকে মাছটা আর হজম করে ফেলতে পারেনি!