বাংলাদেশের একটি টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলের প্যানেল আলোচনায় অংশ নিয়ে এই অভিযোগ তোলেন নিলোফার চৌধুরী মনি। তাঁর দাবি, অভিযুক্তের অতীত ও রাজনৈতিক যোগাযোগ খতিয়ে দেখলে একাধিক প্রশ্ন উঠে আসে।
‘ওরা তাকে ছিঁড়ে খায়…’! বাংলাদেশে দীপু দাসকে হত্যার আগে শেষ মুহূর্তের ভয়াবহ ভিডিও প্রকাশ্যে!
নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, “যে ব্যক্তি হাদিকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছিল, তার পেছনের ইতিহাস দেখা দরকার। কে তাকে দু’বার জামিন করিয়েছে? শিশির মনিরই দু’বার জামিন করিয়েছে। আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে এই কথা বলছি।”
advertisement
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে ঢাকায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন ওসমান হাদি। তিনি ভারত ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের তথাকথিত গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত এক গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবেও তাঁকে দেখা হত।
হাদি হত্যার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং বাংলাদেশে জামাত-ই-ইসলামির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন ও ন্যাশনাল সিটিজ়েন্স পার্টি (এনসিপি) ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। তবে বাংলাদেশ পুলিশের দাবি, এখনও পর্যন্ত এমন কোনও প্রমাণ মেলেনি যে অভিযুক্ত ভারতে পালিয়েছে বা এই ঘটনায় নয়াদিল্লির কোনও ভূমিকা রয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে বাংলাদেশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ প্রধান খান্দাকার রফিকুল ইসলাম এবং ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ প্রধান শফিকুল ইসলাম জানান, “অভিযুক্তের শেষ অবস্থান সম্পর্কে আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। সে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গিয়েছে কি না, সেই সম্পর্কেও কোনও নিশ্চিত তথ্য আমাদের হাতে নেই।”
নিলোফার চৌধুরী মনি আরও অভিযোগ করেন, অভিযুক্তের গ্রেফতার ও মুক্তি নিয়ে গুরুতর অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি বলেন, “১৭ লক্ষ টাকা সহ কে ধরা পড়েছিল? এক মাসের মধ্যে দু’বার এটা কী ভাবে হল? আমরা দেখি অভিযুক্তরা ধরা পড়ে, কিন্তু কখনও তাদের ছাড়া পেতে দেখি না। এই ক্ষেত্রে দু’বার জামিন হয়েছে, আর দু’বারই জামাতের আইনজীবীরা ছিল।”
তিনি আরও দাবি করেন, অভিযুক্তের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। “এই ছেলেটি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সঙ্গেও যুক্ত ছিল, আবার জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বৃত্তেও ছিল,” বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সব শেষে নিলোফার চৌধুরী মনি বলেন, “আমি বেশি কিছু বললে হয়তো নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারব না। এই পরিস্থিতির জন্য আমরা শেখ হাসিনাকে সরাইনি।”
