২০১১ সালে লাদেনের মৃত্যু হয়। আজ ন’বছর বাদে তাঁকে ঘিরে উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য। আমেরিকায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের মূল চক্রী লাদেনকে পাকিস্তানদের আবোতাবাদে খতম করে মার্কিন যৌথ বাহিনী।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের করা এই তথ্যচিত্রের নাম দেওয়া হয়েছে, বিন লাদেনের হার্ড ড্রাইভ। আলকায়দার নেতার থেকে যে সমস্ত ডিজিটাল নথি উদ্ধার করা হয়েছিল, তা সবই ওখানে আছে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এটির প্রিমিয়ার হবে ছবিটি। মার্কিন সৈন্য, যাঁরা লাদেনকে মেরেছিলেন, তাঁরাই দাবি করেছেন, লাদেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল অনেক পর্ন ভিডিও ও ছবি, পত্রিকা। সেগুলি সেই সময়ে দাঁড়িয়ে যথেষ্ট উন্নত মানের ক্যামেরা ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে শ্যুটিং করা হয়েছিল। তারা অবশ্য তদন্তের স্বার্থে সেসব ভিডিও প্রকাশ্যে আনতে অস্বীকার করেছে। সিএনএন ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা পরিবেশিত এই তথ্যচিত্রে দাবি করা হয়েছে, এই পর্ন ভিডিওগুলিকেই কোড হিসাবে ব্যবহার করত লাদেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ড্রাইভ খুঁজে যা পাওয়া গিয়েছে, তাকে এককথায় ডিজিটাল ইনফরমেশন বলা চলে। কিন্তু সেই ডিজিটাল ইনফরমেশন ঘেঁটে আন্দাজ করা যায়, লাদেন এই ভিডিওগুলির মাধ্যমে তার দলের লোকেদের কাছে তথ্যাদি পাঠাত। এটাই ছিল কোড ল্যাঙ্গুয়েজ।
advertisement
তথ্যচিত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, ইমেলের মাধ্যমে কখনই বার্তা পাঠাতে পছন্দ করত না ওসামা বিন লাদেন। বরং তার বদলে তিনি ব্যবহার করেন ক্যুরিয়ার। কারণ, সে নাকি ইমেলের মাধ্যমে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয় পেত সর্বদা। আর লাদেনের সঙ্গী ছিল তার একাধিক স্ত্রী সন্তানেরা। তারাও জেহাদি আদর্শে বিশ্বাসী ছিল এবং লাদেনকে সাহায্য করত কার্যকলাপ চালাতে। এই তথ্যচিত্রে যা দাবি করা হয়েছে, তা একান্ত অমূলক নাও হতে পারে। কারণ, সাধারণত ধরা পড়ে যাওয়া এড়াতে জঙ্গিরা সাধারণত সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে থাকে। তাতে গোপনীয়তা বজায় থাকে।