বিকেল সাড়ে পাঁচটা। সিলেটের আতিয়া ভবনের মূল দরজা ভেঙে ঢুকলেন রাপিড অ্যাকশন স্কোয়াডের আট কম্যান্ডো। পিছনে বাংলাদেশ সেনা ও অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের সদস্যরা। ঘণ্টা দুয়েক ধরে তন্নতন্ন করে তল্লাশি। তারপরই বাংলাদেশ এটিসি ডিরেক্টর ফকরুল এহসানের ঘোষণা, অপারেশন টোয়ালাইট প্রায় শেষ পর্বে। বাড়িতে বিস্ফোরণের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞরা।
সিলেটের বহুতল থেকে উদ্ধার এক মহিলা সহ ৪ জনের মৃতদেহ ৷ এদের মধ্যে দু’জন জামাতের বিস্ফোরণ বিশেষজ্ঞ বলে সন্দেহ ৷ দু’জনের শরীরে লাগানো ছিল সুইসাইড সুইচার ৷ ৩ ও ৪ তলায় পাওয়া গিয়েছে প্রচুর বিস্ফোরক ও সুইচার ৷
advertisement
শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছিল অভিযান। সিলেটের আতিয়া ভবনে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে বেশ কয়েকজন কট্টর জঙ্গি। এই খবরে অভিযান শুরু করে রাব ও বাংলাদেশ সেনার যৌথ বাহিনী। একে একে বের করে আনা শুরু হয় বাড়িটিকে বাস করছিলেন প্রায় ৮০ জন সাধারণ মানুষ। এদের কয়েকজনকে ঢাল করে গুলির লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল জঙ্গিরা।
প্রাথমিকভাবে ৫০ জনকে আবাসন থেকে বের করা হয়
ছাদের ওপর থেকে বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা
রবিবারও তিন ও চারতলা থেকে দফায় দফায় গুলির শব্দ
রবিবার রাতে অভিযানে বাংলাদেশ সেনার এলিট ফোর্স
বাংলাদেশের অন্তত দুটি সংবাদ সংস্থার দাবি, মৃত চারজনের মধ্যে দু’জন জামাত উল মুজাহিদি্ন বাংলাদেশ বা জেএমবির কট্টর জঙ্গি। যদিও রাতের দিকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মুখ্য নিরাপত্তা উপদেষ্টার দাবি, মৃতদের পরিচয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা হচ্ছেয় যদিও তারা যে সন্ত্রাসবাদী তাতে সন্দেহ নেই।