সূত্রের খবর, বাহাওয়ালপুরের এই জঙ্গি শিবিরে নিয়মিত যাতায়াত ছিল মাসুদ আজহারের৷ গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে অত্যন্ত গোপনে মঙ্গলবার গভীর রাতে সেখানেই আকাশ পথে নিঁখুত হামলা চালায় ভারত৷ সূত্রের খবর, ভারত যে জায়গায় হামলা চালিয়েছে সেটি জৈশের সদর দফতরের চৌহদ্দির মধ্যেই ছিল৷ বছরের পর বছর ধরে এই জঙ্গি ঘাঁটিতেই পাকিস্তানের সেনা কর্তা, পাক গোয়েন্দা বাহিনীর সহযোগীরা এবং চরমপন্থী পাকিস্তানি মৌলবীরা একজোট হয়ে ভারত বিরোধী চক্রান্ত সাজাতেন বলে খবর৷
advertisement
গত কয়েক মাস ধরেই জনসমক্ষে সেভাবে দেখা যায়নি মাসুদ আজহারকে৷ ২০২৪ সালের শেষ দিকে এই বাহাওয়ালপুরেই শেষবার প্রকাশ্যে দেখা মিলেছিল এই জঙ্গি নেতার৷ এর পর থেকেই তাঁর গতিবিধির উপরে নজর রাখছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা৷ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পাওয়া ছবির পাশাপাশি বিশ্বস্ত সূত্র মারফত পাওয়া খবরে ভারতীয় গোয়েন্দারা নিশ্চিত ছিলেন, উঁচু পাঁচিল ঘেরা বাহাওয়ালপুরে জৈশের সদর দফতরের ওই চৌহদ্দির মধ্যেই অবস্থান ছিল মাসুদ আজহারের৷
গোয়েন্দাদের কাছে আরও খবর ছিল, মাসুদ আজহারের সঙ্গে তাঁর ছেলেকেও নিয়মিত ওই জায়গায় দেখা যাচ্ছিল৷ নতুন জঙ্গি নিয়োগের দায়িত্বে ছিল মাসুদ আজহারের ছেলে৷ বিভিন্ন সময়ে উস্কানিমূলক ভাষণ দিতেও দেখা শোনা গিয়েছে তাকে৷
এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন, অপারেশন সিঁদুরের পর মাসুদ আজহার কি জীবিত রয়েছেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শীর্ষ সেনা আধিকারিককে নিউজ ১৮ হিন্দিকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে গোয়েন্দা সূত্র মারফত তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা ইঙ্গিত মিলেছে, তাতে হামলার সময় মাসুদ আজহার ওই জায়গাতেই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে৷
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে ভারতীয় সেনা এবং বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে যে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়েছে, সেখানে বাহাওয়ালপুর সহ পাকিস্তানের মাটিতে কোন কোন জঙ্গি ঘাঁটি গতকাল রাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে৷ যদিও হামলায় কতজন অথবা উল্লেখযোগ্য কোনও জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি৷