ভারতীয় সময় সকাল ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্স-এর এক ব্যারেলের দাম ৮.৬৪ ডলার বা ১২.৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে গিয়েছে ৭৮.০০ ডলারে। যা বিগত ৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এত সুস্বাদু সুগন্ধি আম যে দেখলেই জিভে জল! ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হচ্ছে ‘ফলের রাজা’র বাজার, ঘুরে আসুন!
advertisement
শুক্রবার ভোরে ইজরায়েল জানিয়েছে যে, তারা ইরানের উপর আক্রমণ শানিয়েছে। ইরানের সংবাদমাধ্যম বলেছে যে, পারমাণবিক বোমার জন্য কাঁচামাল উৎপাদন বন্ধ করার জন্য ইরানের চুক্তিতে জয়লাভের মার্কিন প্রচেষ্টার উপর উত্তেজনা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তেহরানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
MST Marquee-র সিনিয়র এনার্জি অ্যানালিস্ট সাউল ক্যাভোনিক বলেন যে, ইরানের উপর ইজরায়েলের আক্রমণ ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তেল সরবরাহ বাস্তবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আগে এই সংঘাতকে এই অঞ্চলে তৈল পরিকাঠামোর উপর ইরানের প্রতিশোধের পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানান যে, চরম পরিস্থিতি তৈরি হলে পরিকাঠামোর উপর হামলা অথবা হরমুজ প্রণালী দিয়ে চলাচল সীমিত করে ইরান প্রতিদিন ২০ মিলিয়ন ব্যারেল পর্যন্ত তেল সরবরাহ ব্যাহত করতে পারে।
এদিকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বক্তব্য, ইরানের উপর ইজরায়েলের আক্রমণের লক্ষ্য হল – এর পারমাণবিক পরিকাঠামো, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কারখানা এবং এখানকার বেশ কিছু সামরিক সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এদিকে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও বৃহস্পতিবার ইরানের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের হামলাকে একতরফা পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও বলেছেন যে, ওয়াশিংটন এতে জড়িত নয়। একই সঙ্গে যাতে এই অঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটি অথবা মার্কিন কর্মীদের নিশানা না করা হয়, তার জন্যও তেহরানের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
ফিলিপ নোভা-র সিনিয়র মার্কেট অ্যানালিস্ট প্রিয়াঙ্কা সচদেবা বলেন যে, ইরান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে এবং পাল্টা জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এটা কেবল ব্যাঘাতের ঝুঁকিই বাড়াচ্ছে না, সেই সঙ্গে তা অন্যান্য প্রতিবেশী তেল উৎপাদনকারী দেশগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে। যদিও অংশগ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ কিন্তু উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অন্যান্য মার্কেটে এশিয়ার প্রথম দিকের বাণিজ্যে শেয়ারের দাম কমেছে, যার নেতৃত্বে মার্কিন ফিউচারে সেলঅফ দেখা দিয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা সোনা এবং সুইস ফ্রাঙ্কের মতো নিরাপদ আশ্রয়স্থলের দিকে ঝুঁকছেন। আইজি বাজার বিশ্লেষক টোনি সাইকামোর বলেছেন যে, উদ্বেগজনক এই বৃদ্ধি আর্থিক বাজারে ঝুঁকির মনোভাবের উপর একটি আঘাত।