আরও বেশ কয়েকটি নিয়ম চালু করেছে সে দেশের প্রশাসন। শুধু হাসির উপর নিষেধাজ্ঞা নয়, মদ খাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এই দশ দিন। অবসর যাপন, উৎসবে মেতে ওঠাতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার সিনজুইজু-এর এক বাসিন্দা এ কথা জানিয়েছেন রেডিও ফ্রি এশিয়াকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে নাগরিকদের পেতে হবে কঠিন শাস্তি।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল ১, আচমকা রেইডে হাতে এল ১৮! কলকাতায় UP পুলিশের বড় অভিযান
নিজের পরিচয় গোপন করে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা জানিয়েছেন, এর আগেও যখন জাতীয় শোক চলে, তখন মদ খেয়ে থাকার অভিযোগে অসংখ্য মানুষকে গ্রেফতার করেছে উত্তর কোরিয়ার প্রশাসন। তাঁদের কঠিন সাজাও দেওয়া হয়েছে। কাউকে কাউকে খুঁজেও পাওয়া যায়নি। এই জাতীয় শোকের সময় কেউ শ্রাদ্ধের কোনও অনুষ্ঠানও করতে পারবেন না, পারবেন না জন্মদিন পালন করতে। অন্য একটি সূত্রের খবর, এই মাসের শুরুতেও এমনই সব কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল পুলিশ, যাতে জাতীয় শোকের সময় সকলের মানসিকতা সঠিক ভাবে তৈরি হয়। সেই নিয়মেরই পূর্ণ প্রয়োগ করা হচ্ছে শুক্রবার থেকে।
আরও পড়ুন: পূর্বপুরুষের জন্মস্থান লাভপুর ভ্রমণে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়া আলম
উত্তর কোরিয়ায় নানাবিধ নিয়ম ও কঠোর আইন কার্যকর করার ইতিহাস সকলেই জানেন। একনায়কতন্ত্রের কারণে সেখানে নানাবিধ উদ্ভট আইনও রয়েছে। সেগুলি নিয়ে বিস্তর আলোচনা সমালোচনাও হয়েছে বহুদিন। তবে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন, এই নিয়ে বিশেষ ভাবিত নন। তিনি নিজের মতো দেশ শাসন করে চলেছেন। এমন কী মাঝে মধ্যে আমেরিকার মতো শক্তিধর দেশের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা যায় তাঁকে।