১ জানুয়ারি বর্ষবরণ মেতে উঠেছিল নিউ অর্লিন্স। পথে নেমেছিলেন হাজার হাজার মানুষ। চলছিল নাচ-গান, খাওয়াদাওয়া। সেই সময় আচমকাই ট্রাক নিয়ে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে শামসুদ্দিন জব্বর। ট্রাকের চাকায় পিষে দেন অনেককে। তারপর গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
advertisement
পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় শামসুদ্দিন। সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, জনাকীর্ণ রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়ি পুলিশের ব্যারিকেড পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পলকা ব্যারিকেড লাগিয়েছিল পুলিশ। তাঁর কথায়, “পুলিশের কাছে হাইড্রোলিক স্টিল ব্যারিকেড ছিল। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করা হয়নি। কমজোরি কমলা রঙের ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছিল। হাত দিয়ে ঠেললেই পড়ে যায়।”
ফক্স নিউজের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ঘটনার দু’দিন আগে শামসুদ্দিন মেক্সিকো থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকে। কেভিন গার্সিয়া নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছিল। যে যেদিকে পারছে ছুটছে। রাস্তায় মৃতদেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। পুলিশ দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছিল।”
পুলিশ কমিশনার অ্যান কার্কপ্যাট্রিক বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি “যত বেশি সম্ভব লোককে পিষে মারার চেষ্টা করেছে।” শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত “এমন ধ্বংসযজ্ঞ ঘটানোর জন্য বেপরোয়া ছিল” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এই ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবেই দেখছে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ আলেথিয়া ডানকান জানিয়েছেন, শামসুদ্দিন জব্বরের ট্রাক থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) এবং আইএস-এর পতাকা উদ্ধার হয়েছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এমন হামলা সহ্য করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, “হিংসার কোনও ক্ষমা নেই। দেশের কোনও সম্প্রদায়ের উপর কোনও আক্রমণ আমরা সহ্য করব না।”
অর্লিন্সের হামলার পিছনে অবৈধ অনুপ্রেবশকারীদের হাত দেখছেন সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, “এরা আমাদের দেশের অপরাধীদের থেকেও নিকৃষ্ট।” সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদেরো একহাত নেন তিনি, “দেশে অপরাধের হার এমন জায়গায় পৌঁছেছে যা আগে ভাবাও যেত না। আহত এবং মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আছি।”