বিক্ষোভ থামাতে গুলি চালায় নেপাল সরকার। এর জেরেই অন্তত ১৯ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়, আহত হন বহু মানুষ। এর পরেই আগুনে ঘি পড়ার মতো বিক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। প্রথম দিকে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলেও, মঙ্গলবার সকালেই সমাজমাধ্যম ব্যান করা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন কেপি ওলি। বিক্ষোভে নেপাল ত্যাগ করেন অনেক মন্ত্রীই, তবু টিকে ছিলেন ওলি। অবশেষে তিনিও পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন।
advertisement
শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত সেনা হেলিকপ্টার নেমেছে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে, সেখান থেকে কেপি ওলি এবং তাঁর পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। শুধু সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞাই নয়, দুর্নীতি-সহ নানা ইস্যুতে কেপি ওলির বিরুদ্ধে দানা বাঁধছিল ক্ষোভ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন-সহ সংসদ ভবন দখল করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এই বিক্ষোভের মধ্যেই জনতার হাতে পড়ে যান নেপালের অর্থমন্ত্রী। তবে কেপি শর্মার পড়ে নেপালের ক্ষমতার সমীকরণ কী হয় সেটাই দেখার। নেপালের বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা, যার জেরে কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

