তবে, Gen Z-এর নেতৃত্বে দেশটি বিশাল রাজনৈতিক অবস্থান বদলালেও, বিদ্যমান আইন অনুসারে হাজার হাজার তরুণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখা যেতে পারে। ২০১৩ সালের ভোটার নিবন্ধন আইনের ২(২) ধারা ৪-এ বলা হয়েছে, “নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর কোনও ব্যক্তিকে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত করা যাবে না।”
advertisement
যদি বর্তমান আইনটি ধারাবাহিকতা পায়, তবে কেবলমাত্র ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত ব্যক্তিরা প্রতিনিধি পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৮ সালের শেষ এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত ১৮,১৪৮,৬৫৪ জন ভোটার ভোট দেওয়ার জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছেন।
আরও পড়ুন– কোন দেশ সোনা মজুত করে রেখেছে সবচেয়ে বেশি? ভারত তালিকায় কত নম্বরে থাকতে পারে?
বর্তমান আইনি জটিলতা দূর করার জন্য কমিশন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। ‘‘Gen Z-এর তরুণদের ভোটদান থেকে বিরত রাখার জন্য আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি ৷’’ ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাম প্রসাদ ভান্ডারী বলেন। ‘‘সরকার এই আইন সংশোধনের জন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করতে প্রস্তুত। যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এটি শীঘ্রই জানানো হবে।’’
নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় হিসেবে কাজ করা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ওম প্রকাশ আরিয়ালের দফতর এই বিষয়ে কাজ করছে। ভান্ডারি বলেন, কমিশন নতুন ভোটারদের নিবন্ধনের জন্য দুই মাস সময় দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ‘‘ভোটার নিবন্ধনের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করবে, তবে কমিশন সেগুলি মোকাবিলা করার জন্য যথেষ্ট সক্ষম,’’ তিনি বলেন।
২০২২ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত পূর্ববর্তী নির্বাচনে ১,৭৯,৮৮,৫৭০ জন ভোটার – ৯,১৪০,৮০৬ জন পুরুষ, ৮,৮৪৭,৫৭৯ জন মহিলা এবং ১৮৫ জন অন্যান্য বিভাগের – ভোট দেওয়ার যোগ্য ছিলেন। ২০২৫ সালের এপ্রিলের মধ্যে, আড়াই বছরে, সংখ্যাটি ১,৬০,০৫৪ জন বেড়ে ১৮,১৪৮,৬৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
১৬ বছর বয়স পূর্ণ করা যে কেউ নেপালি নাগরিকত্ব পেতে পারেন। তবে, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। এর জন্য ভোটার নিবন্ধন আবশ্যক। ভান্ডারী বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করে দিয়েছেন। পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক কমিশনের সংখ্যা কমিয়ে তিন করা হয়েছে। ভান্ডারী বলেন, তিন সদস্যের দল নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য যথেষ্ট, “আমরা আরও বেশি সক্ষম। সরকারের সহায়তায়, ৫ মার্চের নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।”
