আমেরিকা এই অভিযোগ করলেও গত মাসে দু বার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ চিনে শাংহাই কোঅপারেশন সামিটে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগেও জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর৷
ফলে আমেরিকা যে অভিযোগই করুক না কেন, কূটনৈতিক মহলের ধারণা, ভারতের প্রধানমন্ত্রীই পুতিন-জেলেনস্কির সঙ্গে বার বার কথা বলে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে একটানা চলতে থাকা যুদ্ধ শেষ করতে ইতিবাচক পদক্ষেপ করছেন৷
advertisement
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য তিনি চেষ্টা করছেন বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের ঢাক নিজে পেটালেও অনেক নীরবে সেই একই চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোদির এই চেষ্টা বরং অনেক বেশি কার্যকরী এবং ফলপ্রসূ হতে পারে৷
পুতিন এবং জেলেনস্কি- দু জনকেই মোদি বার বার বুঝিয়েছেন, বর্তমান সময়ে যুদ্ধ কোনও ভাবেই সমস্যার সমাধান নয়৷ গত ৮ অগাস্ট পুতিনের সঙ্গে কথা হয় মোদির৷ তখনই রুশ প্রেসিডেন্টকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানান তিনি৷ একই বার্তা নিয়ে ১১ অগাস্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী৷ ট্রাম্পের সঙ্গে আলাস্কায় বহু চর্চিত বৈঠকে কী হয়েছে, তা জানাতে পুতিন গত ১৮ অগাস্ট ফোন করেন মোদিকে৷ গত ৩০ অগাস্ট ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি মোদিকে ফোন করে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব দেন এবং পুতিনের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসতে রাজি বলেও জানিয়ে দেন৷ যাতে চিনে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় রুশ প্রেসিডেন্টকে সেই বার্তা পৌঁছে দিতে পারেন মোদি৷
আজই চিনে পুতিনের সঙ্গে মোদির মুখোমুখি দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে৷ তার আগে গাড়িতেও দুই রাষ্ট্রনেতার কথা হয়৷ ডিসেম্বর মাসে পুতিনের ভারত সফরে আসার কথা৷ ফলে ট্রাম্পের মতো নোবেল পুরস্কারের পিছনে না ছুটেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী যে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, তা গোটা বিশ্বের সামনেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷