অন্যান্য বারের মত শুধুই আনন্দ উৎসব নয় এবারের নর্থ আমেরিকা বেঙ্গলি কনফারেন্স। বরং বিশাল এই আয়োজনের পেছনে কাজ করছে এক মহৎ উদ্দেশ্য। আসলে করোনা ক্লিষ্ট বাংলার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েই আরও বেশি করে এই উৎসবের আয়োজন করেছেন আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রবাসী বাঙালিরা। অনুষ্ঠানের ডোনেশন ও রেজিস্ট্রেশন থেকে প্রাপ্য অর্থের বেশিটুকুই দেওয়া হবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লবণহ্রদ রোটারি ক্লাব ও মুক্তি ফাউন্ডেশনকে। কোভিড-১৯ আক্রান্ত বাংলার মানুষের সাহায্যের জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বঙ্গ সম্মেলনের আয়োজকরা।
advertisement
ভারতীয় সময় শনিবার ভোর পাঁচটায় শুরু হয় উৎসব। প্রতিবারের মতই আমেরিকা ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত দিয়েই সূচনা হয়। এরপর ডঃ কালীপ্রদীপ চৌধুরীর স্বাগত ভাষণ। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বার্তা, আহ্বায়ক মিলন আওনের ভাষণের পর পণ্ডিত তন্ময় বসুর তবলা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বড় আকর্ষণ ছিল কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য, প্রেমেন্দুবিকাশ চাকির ‘জার্নি অফ আ লেজেন্ড'।
এরপরেই সুরের ছোঁয়ায় বসে 'জলসার' আসর। গান গাইলেন, শুভমিতা, শ্রীকান্ত আচার্য্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, উজ্জ্বয়িনীরা। ছিল বাংলাদেশের শিল্পীদের অনুষ্ঠান- 'স্বপ্নিল সজীব'। পরিকল্পনায় ‘ইথোস অফ বেঙ্গল’।
এদিনের সন্ধ্যার বিশেষ আকর্ষণ ছিল শ্রুতিনাটক ‘রাজমহিষী’। পরিবেশনায় ছিলেন, দেবশঙ্কর হালদার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, সুকৃতী লহরী। আর শেষে অনুষ্ঠানে অন্য মাত্রা যোগ করেন সিধু ও ক্যাকটাসের দলবল।
ভারচুয়াল রিয়েলিটি প্ল্যাটফর্মে এই অনুষ্ঠান দেখা যেতে পারে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসেই। শুধু NABC -র ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্টার করুন, ২৫ মার্কিন ডলার দিয়ে। মাউস ক্লিকে বা রিমোট অথবা আঙুলের ছোঁয়ায় ঢুকে পড়ুন অডিটোরিয়ামের অন্দরে। সেখানেই আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছে একগুচ্ছ বাঙালিয়ানা। আগামী দু'দিন ছাড়াও আর্কাইভের সাহায্যে ১১ জুলাই পর্যন্ত খোলা থাকবে অডিটোরিয়ামের দরজা।