কেনিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রায় ২.৫ মিটার ব্যাসের প্রায় ৫০০ কেজি ওজনের এই ধাতব বস্তুটি মহাকাশ থেকে পড়া কোনও কিছুর অংশ বলেই মনে করা হচ্ছে৷ প্রাথমিক অনুসন্ধানে মনে হচ্ছে, এটি কোনও লঞ্চ ভেহিকেলের সেপারেশন রিং৷
আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প খুঁজে পেলেন বাংলাদেশিরা, দলে দলে যাচ্ছেন সেই দেশে
advertisement
তবে উদ্ধার হওয়া ওই বস্তুটি আসলে কী, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে কেনিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা৷ সাধারণ মহাকাশ থেকে ফেরার সময় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পর রকেটের ধ্বংসাবশেষ অনেক সময় পুড়ে সমুদ্র অথবা জনবসতিহীন এলাকায় পড়ে৷ এটিও সেরকম কিছু কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷
স্থানীয় এমবুনি কাউন্টির পুলিশের কম্যান্ডার জুলিয়াস রটিচ জানিয়েছেন, অফিসাররা যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন তখনও ওই রহস্যময় বস্তুটি গরম ছিল৷ ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপত্তার জন্যই এলাকাটি ঘিরে রাখে পুলিশ৷
মহাকাশ বিশেষজ্ঞ জোনাথন ম্যাকডাওয়েলের অবশ্য দাবি, ওই রহস্যময় বস্তুটি আসলে কী, তা বুঝতে হয়তো ভুল করছে কেনিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা৷ তাঁর দাবি, গোলাকার ওই ধাতব বস্তুটি কোনও মহাকাশে পাড়ি দেওয়া কোনও রকেটের অংশ নয়৷ তাঁর কথায়, মহাকাশে যাওয়া স্পেশ শাটল রকেট বুস্টারগুলি কখনও পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছয় না এবং ২০১১ সালের পর থেকে এরকম কোনও যান মহাকাশে নেইও৷ এটি কোনও বিমানের ধ্বংসাবশেষ বলেও মনে হচ্ছে না৷