কেন না, যে প্রাণীটির দেহ ভেসে এসেছে সাগরের ঢেউয়ে, শুধু সেটার শিরদাঁড়া-ই ২৩ ফুট লম্বা! এই সুবিশাল উচ্চতা যে অবাক করার মতো, তাতে কোনও সন্দেহ নেই! কিন্তু সন্দেহটা রয়েছে অন্যত্র- এটি ঠিক কোন প্রাণী, তার কিনারা এখনও পর্যন্ত করে ওঠা সম্ভব হয়নি। কেন না, এই ধড়টির কোনও মাথা নেই! ফলে আপাতত এই প্রাণীটির মরদেহ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে ইউকে কেটাসিয়ান স্ট্র্যান্ডিংস ইনভেস্টিগেশন প্রোগ্রাম বা CSIP।
advertisement
CSIP-র কো-অর্ডিনেটর ম্যাথু ওয়েস্টফিল্ড জানিয়েছেন যে এই প্রাণীটির মাথা না থাকার নেপথ্যে আপাতত শুধু কয়েকটা অনুমান করা যাচ্ছে মাত্র। এটা হতে পারে যে মৃত্যুর পর বেশ কিছু দিন সাগরজলে ভাসছিল এই প্রাণীটির দেহ। সেই সময়েই পচন শুরু হয়ে যায়। সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কায় তাই ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায় মাথাটি। আবার এমনটাও হতে পারে যে অন্য কোনও সামুদ্রিক প্রাণীর আক্রমণে ধড় থেকে মাথা আলগা হয়ে যাওয়াতেই মৃত্যু হয়েছিল এই অতিকায় প্রাণীর, পরে দেহটি তটে ভেসে এসেছে।
তবে এই প্রাণীটি যে তিমি নয়, সে বিষয়ে তাঁরা নিশ্চিত বলেই জানিয়েছেন ম্যাথু। তাঁর দাবি, পচনের পর তিমির শরীর থেকে যে রকমের গন্ধ বেরোয়, এখানে তা অনুপস্থিত। তাই ধারণা করা হচ্ছে যে এই অবশেষ হাঙরের হলেও হতে পারে। কিন্তু এই বিষয়েও এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রাণীটির দেহের নমুনা আপাতত পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। পাশাপাশি, ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়াম, লন্ডন জু-র মতো সংগঠনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে কিছু তথ্য পাওয়ার আশায়।